কাজের ব্যস্ততায় পর্যাপ্ত জল পান না করলে শরীরে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। শরীরে ৮টি লক্ষ্মণ দেখে বুঝে নিন আপনি জলশূন্যতায় ভুগছেন কিনা।

জলই জীবন। তাই এর উপকারিতা আর আলাদা করে বলার কিছু নেই। সারাদিনের পর্যাপ্ত জল পান আপনার শরীর যেমন ভালো রাখবে, তেমনি কম জল পানে নানা রোগ বাসা বাঁধবে আপনার শরীরে। একজন পুরুষের ক্ষেত্রে দিনে ৩ লিটারের কাছাকাছি জল পান করা উচিত এবং একজন মহিলার ২ লিটারের অধিক জল পান করলেই যথেষ্ট। এর থেকে কম জলপান আপাত দৃষ্টিতে আপনার তেমন অসুবিধে না করলেও ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

কাজের ব্যস্ততায় অনেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করতে পারেন না, ফলে শরীরে ধীরে ধীরে দেখা দিতে থাকে নানা রকম সমস্যা। তাই শরীরে দেখা দেওয়া এমনই কিছু লক্ষণ দেখে বুঝে নিন আপনিও জল শূন্যতায় ভুগছেন কিনা।

১। কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমের সমস্যা

আপনার কষ্টকাঠিন্য হলে জল কম খাওয়া তার কারণ হতে পারে। আসলে জল কম খেলে হজম শক্তি কমে যায়, নষ্ট হয়। মল ত্যাগ বাঁধা পায়।

২। মুখ ও গলা শুকিয়ে যাওয়া

শরীরে জলের ঘাটতি হলে লালা উৎপাদন কম হবে হলে মুখ ও গলা শুকিয়ে যেতে থাকবে।

৩। গাঢ় হলুদ প্রস্রাব

সাধারণত প্রস্রাব হালকা হলুদ রঙের হয়। কিন্তু শরীরের জল শূন্যতা হলে প্রস্রাবের রং গাঢ় হলুদ বা বাদামি হয়ে যেতে পারে। তাই এই ধরনের সংকেত পেলে তখুনি জল খান।

৪। শুষ্ক ত্বক

জল কম থাকলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, চামড়ায় টান পড়ে। প্রাণহীন ত্বক বুঝলেই জল পান করুন। আর্দ্রটা বজায় রাখুন ত্বকের।

৫। জলের ওভাবে মাথা ব্যথা

হঠাৎ মাথা ব্যাথা হলে অনেকেই ভাবেন গ্যাস, অ্যাসিডিটি বা স্ট্রেস থেকে হয়তো এমনটা হচ্ছে। কিন্তু না, জলের অভাবেও অনেক সময় মাথা ব্যথা হতে পারে।

৬। মাংসপেশীতে ক্র্যাম্প হয়

জলের ঘাটতি মাংসপেশীতে প্রভাব ফেলে, মাংসপেশী সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে ক্র্যাম্প ও ব্যাথা হয় পেশীতে। বিশেষ করে গরমকালে শরীরচর্চা করার সময় এটি হতে পারে।

৭। মাথা ঘোরার সমস্যা

ডিহাইড্রেশন রক্তচাপ কমিয়ে দেয়, ফলে মাথা ঘোরা, চোখে অন্ধকার দেখা, অস্বস্তি হওয়া - এই ধরণের সমস্যা হতে পারে।

৮। অতিরিক্ত ক্লান্তি

পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না খেলে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়বে, কাজে মন বসাতে পারবেন না।

সারাংশ কাজের ব্যস্ততায় অনেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করতে পারেন না, ফলে শরীরে ধীরে ধীরে দেখা দিতে থাকে নানা রকম সমস্যা। শরীরে হওয়া ৮টি লক্ষ্মণ থেকেই নিজে বুঝে নিন যে জলশূন্যতা হচ্ছে কিনা।