AI Chatbot: চ্যাটবট আমাদের জীবন সহজ করে তুলেছে ঠিকই, কিন্তু এর মাধ্যমে ভুল স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় চিহ্নিত চিকিৎসক মহল। এতে সচেতন হতে হবে আমাদেরই।
ChatGPT: চ্যাটজিপিটি, জেমিনি (AI Chatbot Gemini), ক্লড, মেটা বা গ্রক— সময়ের সঙ্গে এইসব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন চ্যাটবট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠছে। মানুষ নানা প্রশ্নের উত্তর জানতে এগুলোর সাহায্য নিচ্ছেন, ভরসাও করছেন। যার মধ্যে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রশ্নের সংখ্যা কম নয়। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এআই অনেক সময়েই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ভুল উত্তর প্রদান করছে। এমনকী বিভিন্ন জার্নালের নামে নকল তথ্য দাবি করে ব্যবহারকারীকে প্রদান করছে। ফলে কারও মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতেই পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।
কী দেখা গিয়েছে সমীক্ষায়?
সম্প্রতি ‘অ্যানাল্স অফ ইন্টারনাল মেডিসিন’ জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গবেষকেরা একাধিক AI প্রি-ট্রোনড মডিউল, যেমন- চ্যাটজিপিটি, জেমিনি, মেটা, গ্রক, ক্লড ইত্যাদি অ্যাপগুলিতে ১০টি প্রশ্ন করে প্রশ্ন করেছে এবং তার থেকে পাওয়া উত্তরের বিশ্লেষণও করেন। প্রশ্নগুলি কিছুটা এই ধরনের ছিল - সানস্ক্রিন ব্যবহারে কি ত্বকের ক্যানসার হতে পারে? বা ফাইভ জি প্রযুক্তি কি বন্ধ্যত্ব তৈরি করতে পারে? উত্তরে প্রতিবারেই চ্যাটবট বিভিন্ন ধরনের উত্তর দিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই সেগুলো ভুল, ভিত্তিহীন, বা অপ্রমাণিত তথ্যে ভরপুর। আবার এও দেখা গিয়েছে, একমাত্র ‘ক্লড’ চ্যাটবটটি কোনও রকম স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ভুল উত্তর দেয়নি। গবেষকদের চিন্তা, AI চ্যাটবট ভুল উত্তর দিলে তা মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি করতে পারে। মানুষ রোগের চিকিৎসায় ভুল পদক্ষেপ নিয়ে ঝুঁকির পথে এগোতে পারে।
মিথ্যা বলতে পারে AI?
চ্যাটবটের এমন কাজে এটাও স্পষ্ট হয় যে, AI মিথ্যেও বলতে পারে। AI-কে নিয়ন্ত্রণ না করলে মানুষের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিপদের কমবে না বলেই মনে আশঙ্কা চিকিৎসক মহলের। অ্যাডিলেডের ‘অ্যাশলে হপকিন্স অফ ফ্লিন্ডার্স ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড পাবলিক হেল্থ’-এর অধ্যাপক অ্যাশলে হপকিন্সের মতে, ‘প্রযুক্তির যদি কোনও ফাঁক থাকে, তা হলে অসৎ উদ্দেশে তাকে ব্যবহার করা সম্ভব। তার সঙ্গে কারও অর্থনৈতিক লাভ বা ব্যক্তিগত ক্ষতি জড়িয়ে থাকে।'
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।