সংক্ষিপ্ত

এয়ার কন্ডিশন: আপনার কি বার বার ঠান্ডা লাগা বা মাইগ্রেনের সমস্যা হয়? দুর্বল ইমিউনিটি, চোখের জ্বালা এবং মাথা ব্যথার মতো সমস্যায় এসি-র বেশি ব্যবহার ক্ষতিকর হতে পারে। জেনে নিন এসি ব্যবহারের কিছু সতর্কতা।

Air Conditioner Health Risks: তীব্র গরম থেকে বাঁচতে সব বয়সের মানুষই এসি ব্যবহার করে। এয়ার কন্ডিশন শুধু ঠান্ডার অনুভূতি দেয় তাই নয়, গরমের কারণে হওয়া ক্লান্তিও দূর করে। এর সঙ্গে এসি-তে শান্তির ঘুমও হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন, এসি-র হাওয়া কিছু মানুষের জন্য বিষের সমান হতে পারে? আসুন জেনে নেওয়া যাক, কাদের এসি ব্যবহার করা উচিত নয়।

দুর্বল ইমিউনিটি সম্পন্ন লোকেরা এসি ব্যবহার করবেন না

যাদের ইমিউনিটি দুর্বল অথবা যাদের তাড়াতাড়ি ঠান্ডা লেগে যায়, তাদের এসি-র হাওয়া থেকে দূরে থাকা উচিত। আসলে আমাদের নাক এবং ফুসফুসে একটি পাতলা স্তর থাকে, যাকে মিউকাস মেমব্রেন বলা হয়। এই মিউকাস মেমব্রেন ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার মতো মাইক্রোঅর্গানিজম থেকে বাঁচাতে কাজ করে। যখন এসি একটানা ব্যবহার করা হয়, তখন এই মিউকাস মেমব্রেন শুকিয়ে গিয়ে তার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এই কারণে এসি-তে বসা লোকেদের তাড়াতাড়ি ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস ইনফেকশন হয়। এসি-তে বেশি সময় থাকার কারণে ইমিউনিটি দুর্বল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিহাইড্রেশনও হতে পারে।

চোখের সমস্যা থাকলে এসি এড়িয়ে চলুন

এয়ার কন্ডিশন পরিবেশের আর্দ্রতা শুষে নেয় এবং পরিবেশের আর্দ্রতা কমে যায়। আপনি যদি দিন-রাত এসি ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার চোখে ড্রাইনেসের সমস্যা হতে পারে। ড্রাইনেসের কারণে চোখ লাল হয়ে যায় এবং জ্বালাও বাড়তে পারে। যদি এসি ব্যবহার করেন, তাহলে একটানা না বসে কিছুক্ষণ পর পর বিরতি নিন।

মাইগ্রেনের রোগীদের জন্য এসি-র ক্ষতি

ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, খারাপ ইনডোর এনভায়রনমেন্ট মাথা ব্যথার প্রধান কারণ। যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে, তাদেরও একটানা এসি-তে বসা উচিত নয়। যদি এসি পরিষ্কার না করা হয়, তাহলে বিষাক্ত গ্যাসের সঙ্গে ধুলো এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক উপাদান শরীরে প্রবেশ করে। এর ফলে মাথা ব্যথার সমস্যা আরও বাড়তে পারে।