সঠিক খাবারের সংমিশ্রণে ওজন কমাতে এবং সারাদিন এনার্জিটিক থাকতে সাহায্য করে। কিছু খাবার একসাথে খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

আলাদা আলাদা শ্রেণীর সব খাবার একসাথে খেলেই যে পুষ্টিও বেশি পাবেন তা নয়। হিতে বিপরীত হতে পারে এতে। সময় ও শ্রেণী ভেদে খাদ্য বিন্যাস সঠিক পুষ্টিরও যোগান দেয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন খাবারগুলি একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়।

১. ফল ও দুধ : যেকোনো ফল, বিশেষ করে টক জাতীয় ফলের মধ্যে অ্যাসিড থাকে। এটি যদি দুধের সাথে মেশানো হয় তবে এই অ্যাসিড হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। অন্ত্রের ক্ষতি হয়, শ্বাস - প্রস্বাসের সমস্যাও হতে পারে।

২. সবজি ও ফল : ফল হালকা গোছের পুষ্টিকর খাবার। হজমও হয় তাড়াতাড়ি। আর সবজি কঠিন পাচ্য খাবার। দুটি একসাথে খেলে কঠিন পাচ্য সবজির জন্য ফল অনেকক্ষণ পেটে পড়ে থাকে, হজম হয় দেরীতে। পেটে পছতে থাকে, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যার সৃষ্টি করে, অন্ত্রেরও ক্ষতি করে।

৩. মাছ - মাংস ও পনির : চর্বিযুক্ত মাংস বা মাছ সাথে পনির খাওয়া স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং সোডিয়ামের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে পারে। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করতে পারে। খাবারে ভারসাম্য বজায় রাখতে, চর্বিহীন মাংস বেছে নিন এবং কম চর্বিযুক্ত পনির খান তবে চেষ্টা করুন একইসাথে না খেতে।

৪. আয়রন এবং ক্যালসিয়াম : আয়রন এবং ক্যালসিয়াম মানবদেহের জন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। কিন্তু একসঙ্গে খাওয়া হলে শরীর একই সঙ্গে উভয় পুষ্টি শোষণ করতে সক্ষম হয় না। ভালো শোষণের জন্য, ভিটামিন সি এর সাথে আয়রন এবং ভিটামিন ডি এর সাথে ক্যালসিয়াম খেতে পারেন।

৫. চা ও হলুদ : যেকোনো পানীয়কে পুষ্টিকর বানাতে তার সাথে হলুদ মেশালেই হয়না। চা খাওয়ার অভ্যাসকে উপকারী করতে চায়ে হলুদ মেশাবেন না। হলুদের থাকে করাকিউমিন এমনগ চায়ে ট্যানিন থাকে। যা একসাথে সেবন করলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও অম্বলের সমস্যা হতে পারে।

৬. চিজ ও কোল্ড ড্রিংক : যেকোনো চিজযুক্ত খাবারের সাথে কোল্ড ড্রিংকস পান করা এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ সংমিশ্রণটি পেটে শোষণে অসুবিধা সৃষ্টি করে। এর ফলে অস্বস্তি এবং পেট ব্যথা হতে পারে।