সংক্ষিপ্ত

চা অনেকের প্রিয় পানীয় হলেও অতিরিক্ত চা পানে ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। গবেষণা রিপোর্ট বলেছে পরিমিত চা পান শ্রেয়।

 

চা অনেকের কাছে প্রিয় পানীয়। অনেকের কাছে এটি আবার আবেগ। কিন্তু এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যাদের কাছে চা- নেতা। বিশ্বের পানীয়গুলির মধ্যে চা সবথেকে জনপ্রিয় পানীয়। কিন্তু অতিরিক্ত চা পান জীবনের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এটি অতিরিক্ত পামে অনিদ্রা, মানসিক চাপ বাড়ে, অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়। অতিরিক্ত চাপ পান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আর স্বাস্থ্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অতিরিক্ত চা পান ত্যাগ করতে হবে। পরিবর্তে নিয়মিত আর পরিমিত চা পান শ্রেয়।

অতিরিক্ত চা পানে ঝুঁকি

দুশ্চিন্তা বাড়ায়। একই সঙ্গে মানসিক চাপ বাড়ায়। চায়ের পাতায় স্বাভাবিকভাবেই ক্যাফেইন থাকে। যা অস্থিরতা বাড়ায়। এটি মাথাব্যাথা পেশী টান আর মানসিক চাপ বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন ২০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফেইন নেওয়া যেকোনও মানুষের মধ্যেই উদ্বেগ তৈরি করতে পারে।

অতিরিক্ত চা পানে ঘুম কমে যায়। ঘুমের অভাব বা অনিদ্রার সমস্যা তৈরি করে। চায়ে ক্যাফেইনের উপস্থিতি ঘুম নষ্ট করে দেয়। মেলাটোনিন হরমন যা মানুষকে স্থির থাকতে দেয় যা প্রভাবিত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে ক্যাফেইন মেলাটোনিন উৎপাদনে বাধা তৈরি করে।

অতিরিক্ত চা পানে পুষ্টি বাধা পায়। ক্যাফেইনের কারণে পুষ্টি বাধা পায়। চা হল ট্যানিন নাম এক শ্রেণীর যৌগগুলির সমৃদ্ধ উৎস। যা নির্দিষ্ট কিছু খাবারে আয়রনকে আবদ্ধ করে, এটি আপনার পরিপাক ট্র্যাক্টে শোষণের জন্য অনুপলব্ধ করে।

দুধ - চা পান রীতিমত ক্ষতি করে শরীরের। এতে প্রচন্ড অ্যাসিড হয়। বমি বমি ভাব বাড়িয়ে দেয়। ট্যানিনেক উপস্থিতির কারণে হয়। এটি হজমের টিস্যুকে নষ্ট করে দেয়। এটি পেটের ব্যাথা সমস্যা তৈরি করে।

গর্ভাবতী মহিলাদের জন্য চা খুবই ক্ষতিকর। অতিরিক্ত চা পানে গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি হয়। অতিরিক্ত পান গর্ভপাতের কারণ হতে পারে।

অম্লতা- চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাফেইন বদ হজম বা অম্বলের কারণ হতে পারে। অনেকেই রয়েছেন, বেড-টিতে অভ্যস্থ। খালিপেটে চা পান খুবই ক্ষতি করে। গ্যাস অম্বল বাড়ায়। এটি স্থূলতার কারণ হতে পারে।

গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে নিয়মিত স্বল্প পরিমাণে র-চা পান করা শ্রেয়। চায়ে দুধ আর চিনি মেশানো হলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।