সংক্ষিপ্ত
এই ক্যান্সার একটি বিরল ক্যান্সার। যাই হোক, যাদের এই ক্যান্সার আছে তাদের মধ্যে এই রোগটি খুব দ্রুত বৃদ্ধি এবং ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর অবস্থা কতটা গুরুতর, তা নির্ভর করে টিউমারটি কোথায় অবস্থিত তার ওপর।
পিত্ত নালী ক্যান্সারকে কোল্যাঞ্জিওকার্সিনোমাও বলা হয়। গলব্লাডারে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধির কারণে এই ক্যান্সার হয়। এই ক্যান্সার খুবই বিরল, তাই এর লক্ষণ চিনতে পারা খুবই কঠিন। গলব্লাডারটি পেটের ডানদিকে যকৃতের নীচে অবস্থিত। এই ক্যান্সার একটি বিরল ক্যান্সার। যাই হোক, যাদের এই ক্যান্সার আছে তাদের মধ্যে এই রোগটি খুব দ্রুত বৃদ্ধি এবং ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।
ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (NHS) মতে, এই রোগে আক্রান্ত রোগীর অবস্থা কতটা গুরুতর, তা নির্ভর করে টিউমারটি কোথায় অবস্থিত তার ওপর। এর আকার কত? এটা কত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে? এবং কিভাবে এটি আপনার স্বাস্থ্য প্রভাবিত করছে? পিত্ত নালী ক্যান্সারের অনেক উপসর্গ আছে, যা শনাক্ত করা কঠিন হতে পারে। এই লক্ষণগুলি যে কোনও ব্যক্তির স্বাভাবিক সমস্যার মতো দেখা দিতে পারে।
পিত্ত নালী ক্যান্সারের লক্ষণ-
১) ত্বক হলুদ এবং চোখের সাদা ছোপ
২) ত্বকে চুলকানি
৩) গাঢ় হলুদ প্রস্রাব, ফ্যাকাশে মল
৪) ক্ষুধামন্দ বা হঠাৎ ওজন হ্রাস
৫) সর্বদা অলস এবং শক্তির অভাব বোধ করা
৬) সব সময় জ্বর থাকা
৭) বমি বমি ভাব বা পেট ব্যাথা
এই রোগ দ্রুত ছড়ায়-
যেহেতু পিত্ত নালী ক্যান্সারের লক্ষণগুলি অনেক সাধারণ রোগের সঙ্গেও যুক্ত, তাই এমন হতে পারে যে আপনি এই লক্ষণগুলিকে একটি সাধারণ সমস্যা হিসাবে বিবেচনা করেন এবং মনোযোগ দেন না। কিন্তু তা করলে রোগটি আরও দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ ধরা পড়লে ক্যান্সার প্রতিরোধের আশা ও সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। তবে, দেরিতে সনাক্তকরণ খুব বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে।
আরও পড়ুন- এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে পৌঁছতে পারে এই ক্যান্সার, জেনে নিন কীভাবে প্রতিরোধ করবেন এই মহাবিপদ
আরও পড়ুন- হজমজনিত সমস্যা দূর করবে এই ৫ সবজি, এই সময় খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন এগুলি
পিত্তনালীর ক্যান্সার শনাক্ত করতে ডাক্তাররা রক্ত পরীক্ষা, আল্ট্রাসাউন্ড, সিটি স্ক্যান, এমআরআই স্ক্যান, বায়োপসি, এন্ডোস্কোপিক রেট্রোগ্রেড কোলাঞ্জিওপ্যানক্রিটোগ্রাফি বা পিটিসি এক্স-রে করার পরামর্শ দেন। এই পরীক্ষাগুলি অগ্ন্যাশয়, গল ব্লাডার বা লিভারের মতো আপনার পাচক অঙ্গগুলির সমস্যাগুলির পাশাপাশি অনেক শারীরিক সমস্যা সনাক্ত করতে পারে।
এনএইচএসের মতে, যে কেউ পিত্তনালীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে এবং কারণটি সব সময় পরিষ্কার নয়। সার্জারি, কেমোথেরাপি এবং রেডিওথেরাপির মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা করা যায়। তবে, ক্যান্সার কোষগুলি কোথায় অবস্থিত এবং এর বর্তমান অবস্থা কী তার উপরও চিকিত্সা নির্ভর করে।