শীতকালে শরীরকে উষ্ণ ও মজবুত রাখতে গমের আটার রুটিতে বাজরা, রাগি, আজওয়াইন ও শুকনো আদা মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন। এই উপাদানগুলি শরীরকে গরম রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং পাচনতন্ত্র উন্নত করে।
শীতকাল শুরু হতে আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। শীতকালে খাওয়া-দাওয়ায় পরিবর্তন আনা খুবই জরুরি। বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ সকলেরই শীতকালে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যদি আপনি শরীরকে মজবুত করতে চান, তাহলে শীতকালে গমের আটার রুটিতে কিছু পরিবর্তন অবশ্যই করুন। দাদি-নানির আমল থেকেই বিভিন্ন ধরণের আটার রুটি শীতকালে খাওয়া হত যাতে শরীর উষ্ণ থাকে এবং শরীর মজবুত হয়। আপনি গমের আটায় অন্যান্য জিনিস মিশিয়ে রুটি বানাতে পারেন।
শীতকালে বাজরার রুটি কেন খাওয়া উচিত?
শীতকালে বাজরার রুটি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় কারণ এটি শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। বাজরার রুটি বানানো খুবই সহজ। যদি আপনি শুধু বাজরার রুটি খেতে না চান, তাহলে অর্ধেক বাজরা এবং অর্ধেক গমের আটা মিশিয়েও রুটি বানাতে পারেন। এতে ফাইবারের সাথে আয়রন, ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রদান করে।
রাগির রুটি কেমন?
রাগি শীতকালের জন্য উপযুক্ত। যদি এখনও আপনি রাগির রুটি না খেয়ে থাকেন, তাহলে আপনি এটি গরম জলে মিশিয়ে ভালো করে মাখিয়ে বানাতে পারেন। রাগির রুটির সাথে রাগির চিলাও খুবই সুস্বাদু, যা শরীরের জন্যও উপকারী। চাইলে গমের আটায় রাগি মিশিয়েও বানাতে পারেন।
পাচনতন্ত্র উন্নত করে আজওয়াইন
গমের আটায় আজওয়াইন মিশিয়ে খেতে পারেন। আজওয়াইন এক ধরণের ডাইজেশন এনজাইম বুস্টার, যা পাচনতন্ত্র উন্নত করতে সাহায্য করে। শীতকালে পাচনক্রিয়া ধীর হয়ে যায়, যার ফলে পেট ফাঁপা সহ পেটের নানা সমস্যা শুরু হয়। গমের আটায় সামান্য আজওয়াইন মিশিয়ে তারপর রুটি বানান।
শুকনো আদা মিশিয়ে রুটি বানান
শুকনো আদা শীতকালে বেশি খাওয়া হয় কারণ এটি সর্দি-কাশি দূর করার পাশাপাশি পাচনতন্ত্র উন্নত করে। আপনি আটায় সামান্য শুকনো আদা মিশিয়ে রুটি বানালে, রুটির স্বাদও বাড়বে এবং শরীরেরও উপকার হবে।


