সংক্ষিপ্ত

গর্ভপাতের পর মহিলাদের তীব্র গন্ধযুক্ত স্রাব হতে পারে। মহিলাদের মধ্যে এই ধরনের উপসর্গ সাধারণ নয়। এই সময়ে, মহিলাদের ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং জরায়ু পরীক্ষা করাতে হবে।

গর্ভাবস্থা প্রতিটি মহিলার জীবনে একটি সুখী পর্যায়। কিন্তু কিছু কিছু নারীকে গর্ভাবস্থায় কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অনেক সময় জটিলতার কারণে কিছু নারীকে গর্ভপাত করাতে হয়। গর্ভপাতের পর মহিলাদের জরায়ু ও অন্যান্য অঙ্গে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এসব উপেক্ষা করলে নারীদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে। এই সময়ে মহিলাদের পেলভিক ব্যথা, মিলনের সময় ব্যথা, বন্ধ্যাত্ব এবং একটোপিক গর্ভাবস্থা হতে পারে। গর্ভপাতের পর নারীদের মানসিক সহায়তার পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন।

গর্ভপাতের পরে সংক্রমণের কারণে মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণগুলি দেখা যায়

তীব্র গন্ধযুক্ত স্রাব

গর্ভপাতের পর মহিলাদের তীব্র গন্ধযুক্ত স্রাব হতে পারে। মহিলাদের মধ্যে এই ধরনের উপসর্গ সাধারণ নয়। এই সময়ে, মহিলাদের ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং জরায়ু পরীক্ষা করাতে হবে। যাতে যেকোনো ধরনের সম্ভাব্য সংক্রমণ সময়মতো দূর করা যায়।

মাত্রাতিরিক্ত জ্বর

যদি গর্ভপাতের ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা পরে মহিলার উচ্চ জ্বর হয় তবে আপনার অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এই লক্ষণ মহিলাদের সংক্রমণ নির্দেশ করে। এই সময়ে, ডাক্তাররা মহিলাদের পরীক্ষা করতে পারেন এবং তাদের অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারেন।

অনিয়মিত পিরিয়ড

গর্ভপাত এবং গর্ভপাতের পরে মহিলারা সংক্রমণের প্রবণতা বেশি। এমন পরিস্থিতিতে মহিলাদের পিরিয়ড অনিয়মিত হতে পারে। এ সময় মহিলাদের পিরিয়ডের সময় যে রক্তক্ষরণ হয় তা গাঢ় লাল রং ও মাছের দুর্গন্ধের মতো হতে পারে। এটিও সংক্রমণের লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত

গর্ভপাতের সময়, সংক্রমণের লক্ষণগুলিতে কিছু মহিলার অনিয়মিত পিরিয়ড হতে পারে, আবার কাউকে পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তপাতের সমস্যায় পড়তে হতে পারে।

তীব্র পেট বা পিঠে ব্যথা

গর্ভপাতের পরে সংক্রমণের কারণে কিছু মহিলার পেটে এবং পিঠে তীব্র ব্যথা হতে পারে। আসলে, এই সময়ে পেলভিক ফ্লোরে সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়। যার কারণে এই অংশে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। সংক্রমণের কারণে মহিলারা তলপেটে এবং পিঠে সামান্য ব্যথা অনুভব করতে পারেন।

গোপনাঙ্গে জ্বালাপোড়া ও ফুলে যাওয়া

গর্ভপাতের পর মহিলাদের গোপনাঙ্গ পরিষ্কার করা হয়। পরিষ্কার না করলে ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক দ্বারা গোপনাঙ্গে সংক্রমণ হতে পারে। যার কারণে নারীদের জ্বালাপোড়া ও ফোলা সমস্যায় পড়তে হতে পারে।

কিভাবে গর্ভপাতের পরে সংক্রমণ প্রতিরোধ?

গর্ভপাতের পরে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে মহিলাদের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। এ সময় নারীদের গোপনাঙ্গের পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এছাড়াও, সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য কিছু ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। গর্ভপাতের পরে প্রায় ৪ থেকে ৮ সপ্তাহের জন্য কোনও ধরণের যৌন কার্যকলাপে জড়িত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই সময়ে সহবাস করলে জরায়ুতে সংক্রমণ হতে পারে। গর্ভপাতের পর নারীরা যদি কোনো ধরনের সমস্যা অনুভব করেন, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। মহিলাদের বর্তমান অবস্থার উপর নির্ভর করে ডাক্তার পরীক্ষা বা ওষুধ লিখে দিতে পারেন।