ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য প্রাকৃতিক ও কার্যকর স্ন্যাকস হিসেবে বাদাম বেছে নিতে পারেন। সঠিক পরিমাণে খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। স্বাস্থ্যকর জীবনধারার অংশ হিসেবে বাদামকে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যুক্ত করা যেতেই পারে।

ডায়াবিটিস বা রক্তে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ, যা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে হৃদরোগ, কিডনি সমস্যা ও স্নায়বিক জটিলতার মতো বিপদ ডেকে আনতে পারে। ওষুধের পাশাপাশি সঠিক খাদ্যাভ্যাস এই রোগ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে বাদাম হতে পারে একটি কার্যকর সহায়তা। তবে সব বাদাম নয়, কিছু নির্দিষ্ট বাদাম রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। সঠিক পরিমাণে এবং সঠিক ধরনের বাদাম প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলে ডায়াবিটিসের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায়।

কেন বাদাম উপকারী?

ফাইবার সমৃদ্ধ: বাদামে থাকা ডায়েটারি ফাইবার ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণে সাহায্য করে, যা রক্তে সুগার কমায়।

লো গ্লাইসেমিক লোড: অধিকাংশ বাদামে কার্বোহাইড্রেট কম থাকায় এগুলোর গ্লাইসেমিক লোড কম, ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা হঠাৎ বাড়ে না।

স্বাস্থ্যকর ফ্যাট: ম্যাকাডামিয়া ও আখরোটে থাকা মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট হৃদয় সুস্থ রাখার পাশাপাশি সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

যে বাদামগুলি ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য উপকারী

* চিনাবাদাম (Peanuts) গ্লাইসেমিক লোড কম, সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য।

* আখরোট (Walnuts) ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়।

* পেস্তা (Pistachios) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার সমৃদ্ধ।

* ম্যাকাডামিয়া (Macadamia Nuts) বেশি পরিমাণে মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, হৃদরোগ ও সুগার দুটোই নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

* কাঠ বাদাম (Almonds) ফাইবার ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ, যা ইনসুলিন ফাংশন উন্নত করে।

কীভাবে খাবেন?

প্রতিদিন ৩০ গ্রাম বা এক মুঠো বাদাম খাওয়াই যথেষ্ট এজন প্রাপ্ত বয়স্কের জন্য। বড় বাদাম হলে দিনে ৬–৮টি বাদাম যথেষ্ট।

সতর্কতা

প্রসেসড বাদাম যেমন- ভাজা বা লবণ দেওয়া বাদাম) খাবেন না। যেকোনো বাদামই বেশি খেলে অতিরিক্ত ফাইবার এবং ক্যালোরি শরীরের ক্ষতি করতে পারে, মেদ জমা ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াবে শরীরে। এমনকি ডায়াবিটিস রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাদাম খাওয়ার পরিমাণ ঠিক করা উচিত।