শসা শুধু স্যালাড হিসেবেই নয়, স্ন্যাকস হিসাবেও খাওয়া যেতে পারে। তবে এর সত্যে আরো কিছু যোগ করলে শসার গুণ আরো বৃদ্ধি পাবে।
রোগা হতে চাইছেন? অথচ একেবারে ডায়েট করায় মুশকিল হচ্ছে। আপনাদের জন্য শসার থেকে ভালো কিছু হতেই পারে না! আধা কাপ কাটা শসাতে মাত্র ৮ ক্যালোরি রয়েছে তবে ১.৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ০.৩ গ্রাম ফাইবার এবং ০.৩ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। এছাড়াও এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং ম্যাঙ্গানিজ। শসার সবচেয়ে ভালো দিক হল, এটি খাবার হজম করায়, পেট অনেকক্ষণ ভরা রাখে, ফলে অতিরিক্ত চোখের খিদে হয়না।
কীভাবে খাবেন শসা?
শসা শুধু স্যালাড হিসেবেই নয়, স্ন্যাকস হিসাবেও খাওয়া যেতে পারে। তবে এর সত্যে আরো কিছু যোগ করলে শসার গুণ আরো বৃদ্ধি পাবে স্যান্ডউইচে শসার সঙ্গে মেয়োনিজ বা সসের বদলে দই নিতে পারেন, আরো ভালো হয় যদি না চিজ মাখিয়ে নিতে পারেন। বিশেষ করে কটেজ চিজ। শশার টুকরোর সাথে চিজের টুকরোও খেতে পারে। শসার সঙ্গে বিভিন্ন কম ক্যালোরির সব্জিও খেতে পারেন একসাথে। গাজর, ফুলকপি, টমেটো, পালং শাক বা সেলেরি - এইসবার সাথে খেতে পারেন। গুণের দিক থেকে চিজ় প্রায় দুধের সমান। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম থাকে, যা শরীরে ক্যালশিয়মের ঘাটতি হতে দেবে না।
ঋতুবন্ধের পরে মহিলাদের বিভিন্ন হাড়ের সমস্যা বা অস্টিয়োপোরোসিস দেখা দেয়। তাই রোজকার খাবারে চিজ় রাখতে পারেন। ডায়েটে ফ্যাটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে সেখানে চিজ় সংযোজন করাই যায়।
প্রোটিন হিসেবে শসার সঙ্গে সেদ্ধ ডিম খাবেন হালকা নুন ছড়িয়ে, হজমে সুবিধে হবে। বাদাম বা বিভিন্ন বীজের সঙ্গে তাল মেলাতে পারে শসা। শসার স্যালাডে অল্প অলিভ বা ফ্লেক্স সিড ওয়েল ব্যবহার করতে পারেন হেলথি ফ্যাট হিসেবে।
ফল বা সবজি হিসেবে কগেটে না চাইলেও পানীয় হিসেবে খাওয়ার উপায়ও আছে। শসার রসের সঙ্গে আদার রস মিশিয়ে খান, আপনার বিপাকে হার বাড়িয়ে ওজন তর তর করে কমাতে বাধ্য। ডিটক্স ওয়াটার হিসেবে জলে লেবু আর শসা গোল গোল করে কেটে ভিজিয়ে রেখে সেই জল খান, অথবা একই ভাবে শসার জুস্ সঙ্গে লেবুর রস খান খাওয়ার পর, হজমের সুবিধায়।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
