যেকোনও ডায়েট পানীয়তেই চিনির বিকল্প হিসেবে থাকে অ্যাসপারটেম নামক কৃত্রিম চিনি। এই অ্যাসপারটেম ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কারণ, অ্যাসপারটেমে থাকে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান। ভারত সহ বিশ্বের আরও বহু দেশেই এই কৃত্রিম চিনি ব্যবহার করা হয়।
'ডায়েট' কোল্ড ড্রিঙ্ক লিভারের জটিল রোগের কারণ হতে পারে, যদিও এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। এই ধরনের পানীয় ওজন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ এবং মেটাবলিক সিনড্রোম-সম্পর্কিত ফ্যাটি লিভার ডিজিজ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায় বলে কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে।
তেষ্টা পেলে জল নয়, বাইরে বেরোলেই আমরা হাতের কাছে কোল্ড ড্রিঙ্ক খুঁজি আমরা। ঝাঁঝের সঙ্গে ঠান্ডা পানীয় শুধু তৃষ্ণা মেটায় না, একই সঙ্গে মনকেও স্ফূর্তি দেয়। যেহেতু ডায়েট পানীয়ে চিনি থাকে না। তাই আমরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ডায়েট কোল্ড ড্রিঙ্ককে স্বাস্থ্যকর মনে করে প্রায় রোজই নানা বাহানায় খেয়ে থাকি। আর তাতেই ঘটছে বিপদ।
অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসও ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়ায়, যা পরবর্তীকালে সিরোসিসের মতো জটিল রোগের কারণ হতে পারে।
* বিশেষজ্ঞদের মত ও গবেষণা :
১. ওজন এবং MASLD: একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, অতিরিক্ত ডায়েট সোডা পান করার ফলে শরীরের ভর সূচক (BMI) বৃদ্ধি পায় এবং এটি মেটাবলিক সিনড্রোম-সম্পর্কিত স্ট্যাটোটিক লিভার ডিজিজ (MASLD) হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
২. ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, যাদের অন্যান্য ঝুঁকির কারণ নেই, তাদের ক্ষেত্রেও কোমল পানীয় (যা ডায়েট সোডাকেও অন্তর্ভুক্ত করতে পারে) পান করাটা লিভারে চর্বি জমার একটি সাধারণ কারণ হতে পারে।
৩. অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা: অতিরিক্ত চিনিযুক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার এবং পানীয় (যেমন বাবল মিল্ক টি) লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমাতে সাহায্য করে, যা ফ্যাটি লিভারের একটি নীরব হুমকি।
৪. গুরুতর পরিণতি: ফ্যাটি লিভার যদি প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত এবং চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে তা হেপাটাইটিস এবং সিরোসিসের মতো মারাত্মক লিভারের রোগে পরিণত হতে পারে।
৫. লিভার সুস্থ রাখতে যা করবেন ডায়েট কোল্ড ড্রিঙ্ক এবং অন্যান্য চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন।অতিরিক্ত চিনি এবং চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ কমিয়ে দিন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
লিভারের জন্য উপকারী খাবার যেমন সবুজ শাকসবজি (পালং শাক, কেল), ফল, বাদাম, রসুন, সবুজ চা ইত্যাদি বেশি করে খান।
