সংক্ষিপ্ত

গ্যাস থেকেও হতে পারে হার্ট অ্যাটাক। , কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে টিবি, অন্ত্রের ক্যান্সার হতে পারে। আর এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তির জন্য নিজের লাইফস্টাই বদলে ফেলুন।

 

পেটে ব্যাথার সমস্যা অনেকেই রয়েছে। গ্যাস বা অম্বল থেকে অনেক সময় পেটের ব্যাথা হয়। পেটে ব্যাথার আরও বেশ কতগুলি কারণ রয়েছে। হজম না হলে বা উল্টোপাল্টা খাবার খেলে অনেক সময়ই পেটে ব্যাথা হয়। কিন্তু পেটে ব্যাথা সাধারণ বলে কখনই ফেলে রাখা ঠিক নয়। কারণ গ্যাস থেকে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক। এই দেশে ১০০ জনের মধ্যে ৯৯ জনই গ্যাস - অম্বল বা বদহজমের সমস্যায় ভুগছে। যদিও বদহজম একটি স্বাভাবিক নিত্যদিনের সমস্যায় পরিণত হয়েছে। তবুই এটিকে অবহেলা করা ঠিক নয়। এটি আলসার, আইবিএস, কোলাইটিস, ডায়াবেটিশ ও ক্রমাগত কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে হতে পারে।

সামান্য গ্যাস থেকেও হতে পারে হার্ট অ্যাটাক। শুধু তাই নয় গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে টিবি, অন্ত্রের ক্যান্সার হতে পারে। আর এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তির জন্য নিজের লাইফস্টাই বদলে ফেলুন। পছন্দের জাঙ্ক ফুডের পরিবর্তে নিয়মিত পুষ্টিকর তাজা খাবার খান। মিষ্টি বা ভাজাভুজি খাবার থেকে দূরে থাকুন। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল যোগব্যায়াম। যা শরীরকে সতেজ রাখতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের কথায় অতিরিক্ত খাবারের কারণে গ্যাস হয়। তা থেকেই পেটে ব্যাথা, বদহজম, পেশীতে টানের মত মস্যা দেখা দিতে পারে। গ

আমাদের দেশে বদহজম একটি বড় সমস্যা। হজমের সমস্যার কারণে গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য , কোলাইটিস, আলসার হতে পারে।

তবে এই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য রয়েছে ঘরোয়া প্রতিকার। প্রথমেই আপনার দৈনিন্দিন রুটিনে সেগুলি অন্তর্ভুত করতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই হালকা গরম জলে লেবু মিশিয়ে খান। এই জল পান করার পরে মাত্র পাঁচ মিনিট শুয়ে বা বসে থাকুন। তারপর আপনি আপনার যা কাজ তাই করতে শুরু করুন। প্রতিদিনের খাবারে পেঁপে , আপেল, ডালিম, ন্যাশপাতির মত ফল রাখতে পারেন। এগুলি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সমাধান করে। খাবারের পাতে বিট , গাজর , আমলতি, পালং শাক ,টমেটো, রাখতে পারেন। এগুলি খুবই উপকারী পেটের জন্য।

যাগের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে, তারা রাতে দ্রুত ঘমিয়ে পড়ুন। না হলে হজমের সমস্যা বাড়বে। রাতে ভুলেও ভারি আর রিচ খাবার খাবার খাবেন না। রাতে মিষ্টি খাবেন না। মিষ্টি হজম হতে সমস্যা করে। প্রয়োজনে রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ খতে পারেন। এটি হজমের জন্য সহায়ক।

খাবার খাওয়ার ঠিক এক ঘণ্টা পরে জল পান করুন। তাহলে হজমের সমস্যা দূর হবে। দিনে বা রাতে পরিমাণমত জল পানের প্রয়োজন রয়েছে। জল হজমের সহায়ক।

নিয়মিত গ্যাসের ওষুধ না খাওয়াই শ্রেয়। এটি কিন্তু হজম ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। হাঁটাহাটি হজম সমস্যা সমাধান করতে পারে।