সংক্ষিপ্ত

শিশুদের ত্বক খুব নরম এবং সংবেদনশীল। হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে, অতিরিক্ত হিটার বা এসি ব্যবহার, আঁটসাঁট পোশাক পরা বা জলের অভাবে শিশুদের ত্বকে শুষ্কতা দেখা দেয়।

শীতকালে প্রায়ই শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। কারণ এই মৌসুমে আমরা বেশি জল পান করতে পারি না। ডিহাইড্রেটেড হয়ে গেলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া সাধারণ ব্যাপার। অথচ শিশুদের শুষ্ক ত্বকের সমস্যাকে গুরুতর রোগ হিসেবে দেখা হয় না। অনেক সময় শিশুদের শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করতে আমরা ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করি। আজ আমরা আপনাকে এমন কিছু ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে বলব, যা খুবই উপকারী প্রমাণিত হয়েছে।

সংবেদনশীল ত্বককে প্রভাবিত করে

শিশুদের ত্বক খুব নরম এবং সংবেদনশীল। হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে, অতিরিক্ত হিটার বা এসি ব্যবহার, আঁটসাঁট পোশাক পরা বা জলের অভাবে শিশুদের ত্বকে শুষ্কতা দেখা দেয়। শুষ্ক ত্বকের কারণে, অ্যালার্জির মতো সমস্যা, ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া, ঠোঁট ফাটা বা চুলকানি ত্বকের মতো সমস্যাও শিশুদের হতে পারে।

কীভাবে শুষ্ক ত্বক প্রতিরোধ করবেন

শুষ্ক ত্বকের সমস্যা এড়াতে আপনার শিশুকে জলশূন্য হতে দেবেন না। শরীরে প্রয়োজনীয় পরিমাণ জল যাতে যায়, সেদিকে যত্ন নিন। জলের অভাব না থাকলে আপনার সন্তানের ত্বক শুষ্ক হতে পারবে না।

শিশুদের ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে অল্প ব্যবধানে তেল দিয়ে মালিশ করতে ভুলবেন না। এটি আপনার শিশুর ত্বক থেকে শুষ্কতা দূর করবে।

পরিবর্তনশীল ঋতুতে আপনার সন্তানদের বিশেষ যত্ন নিন। গ্রীষ্ম হোক বা শীত, হঠাৎ বদলে যাওয়া আবহাওয়া শিশুর ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই তাদের যত্ন নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার শিশুকে শুধুমাত্র হালকা গরম জল দিয়ে স্নান করুন। পাশাপাশি শিশুকে হালকা গরম জল পান করতে দিন। এতে শিশুর শরীরে জল ধরে থাকে। এছাড়াও, ত্বক ময়শ্চারাইজড থাকে।

নবজাতকদের অতিরিক্ত স্নান করানো একেবারেই উচিত নয়। নবজাতকদের সপ্তাহে ২-৩ বার স্নান করানোই যথেষ্ট। স্নান করানোর সময়, মাইল্ড সাবান বা বডি ওয়াশ এবং ঈষদুষ্ণ জল, নরম তোয়ালে ব্যবহার করুন। স্নান করানোর পর বেবি কেয়ার ক্রিম কিংবা লোশন অবশ্যই ব্যবহার করুন।

শীতকালে বাইরে যেতে হলে সঠিক ও উপযুক্ত পোশাক নির্বাচন করুন। শিশুকে টুপি, মোজা, মিটেনস পরান, এমনকি রাতেও এই পোশাকেই রাখুন। তবে শীত থেকে বাঁচাতে গিয়ে অতিরিক্ত জামা কাপড় পরিয়ে ফেলবেন না। এর ফলে হিতে বিপরীত হতে পারে। ঘরের তাপমাত্রা অনুযায়ী পোশাক পরানো উচিত। আবার এমন কিছু পরিয়ে ফেলবেন না, যা শিশুর হাঁটাচলাকে আটকে দেয় বা যা পরে তারা হাত পা ছুঁড়ে খেলতে না-পারে।

আরও পড়ুন

বুকের দুধ খেয়ে শিশুর পেট ভরছে কিনা বুঝবেন কী করে, এই লক্ষ্মণগুলো মাথায় রাখুন মায়েরা

বাচ্চার ভবিষ্যত সুন্দর করতে, ছোট বয়সেই তাকে এই পাঁচ বিষয় শিক্ষা দিন

আলিয়া-রণবীরের ঘরে কন্যাসন্তান, এই বদলির মরসুমে কীভাবে যত্নে রাখবেন নিজের ঘরের সদ্যোজাতকে, দেখুন টিপস