বৃষ্টিতে স্নানের অনেক উপকারিতা রয়েছে, যেমন চুল মজবুত করা, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা এবং স্ট্রেস কমানো। তবে, দূষিত বৃষ্টিতে স্নান এড়িয়ে চলা উচিত এবং দীর্ঘক্ষণ স্নান করা উচিত নয়।

বাংলা-সহ দেশের বেশির ভাগ জায়গায় বর্ষা প্রবেশ করেছে। এই করাণে সব জায়গায় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। ঘরবাড়িতে জল ভর্তি হয়ে যাওয়ায় নিচু এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। পাহাড়ি এলাকার অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। সারা উত্তর ভারত থেকে বৃষ্টি সম্পর্কিত এমন সব খবর আসছে। তবে কিছু মানুষ আছে যারা দুর্যোগের মধ্যেও বৃষ্টি উপভোগ করার সুযোগ খুঁজছেন এবং বৃষ্টিতে স্নানও করছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া কিছু ভিডিওতে বৃষ্টির জলে স্নান করতে দেখা যাচ্ছে। কয়েকজনকে বৃষ্টি উপভোগ করতেও দেখা যাচ্ছে। প্রতিটা মানুষই নিশ্চয়ই কোনও না কোনও সময় বৃষ্টিতে স্নান করার আনন্দ নিয়েছে। কেউ কেউ বৃষ্টিতে স্নান করাকে অনেক রোগের সঙ্গে যুক্ত করে। আবার কেউ কেউ বৃষ্টিতে স্নান করাকে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করেন। বৃষ্টির কারণে কারও কারও সর্দি ও জ্বর হতে পারে। তবে, এটি ছাড়াও, এটি শরীরের উপর কোনও বড় প্রভাব ফেলে না। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক বৃষ্টিতে স্নান করলে শরীরের কোন সমস্যা দূর করা যায়।

বৃষ্টিতে স্নানের উপকারিতা

১) বৃষ্টির জলে এমন অনেক খনিজ পাওয়া যায়, যা মানুষের জন্য উপকারী। এতে রয়েছে অ্যালকালাইন পিএফ, যা চুলকে মজবুত করতে কাজ করে। এতে ভারী ধাতুও নেই। এটি চুলের রুক্ষতাও দূর করে।

২) বৃষ্টি শুধু চুলের জন্যই নয়, ত্বকের জন্যও খুব উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং শরীরের আটকে থাকা ময়লা সহজেই দূর করে।

৩) বৃষ্টিতে স্নান করার সময় শরীরে সেরোটোনিন ও এন্ডোরফিন নামের হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোনগুলি স্ট্রেস এবং উদ্বেগ দূর করতে এবং আপনাকে খুশি করতে কাজ করে।

৪) এ ছাড়া মন এবং শরীরও খুব আরাম অনুভব করে। আপনার যদি হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সমস্যা থাকে, তাহলে বৃষ্টিতে স্নান করা আপনার জন্য উপকারী হতে পারে।

এই জিনিসের যত্ন নিন-

১) মৌসুমের প্রথম বা দ্বিতীয় বৃষ্টিতে স্নান এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এটা খুবই দূষিত। এতে ত্বকের সমস্যা হতে পারে।

২) দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টিতে স্নান করতে ভুল করবেন না। কারণ এতে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।

৩) যাদের ঠাণ্ডা লাগার বা হাঁপানির মত সমস্যা থাকে বৃষ্টিতে স্নান এড়িয়ে চলতে হবে।

৪) ছোটরা একদম এই সব থেকে দূরে থাকুন 

৫) প্রয়োজনে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন