সংক্ষিপ্ত
আম সকলেরই প্রিয় ফল। কিন্তু ডায়াবেটিশে আক্রান্তদের আম খাওয়ার জন্য কতগুলি নিময় মানার প্রয়োজন রয়েছে।
ফলের রাজা হিসেবে পরিচত আম। গ্রীষ্ণকালে দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যের মানুষই আমের স্বাদ পেতে চায়। আম ভারতবাসীর অত্যন্ত প্রিয় একটি ফল। মিষ্টি, রসাল এই ফল ছাড়া গ্রীষ্ণকাল ঠিক মানায় না। এই দেশে ১.৫০০ টিরও বেশি প্রজাতির আম জন্মায়। প্রতিটি আমের স্বাদ গন্ধ কিন্তু আলাদা। যাইহোক এখন প্রশ্ন ডায়াবেটিশ বা সুগারের রোগীরা কি আম খেতে পারবে এই গরম কালে।
আপনি এই প্রশ্নটি নিয়ে ইন্টারনেটে যদি সার্চ করেন তাহলে রীতিমত বিভ্রান্ত হবে। কারণ কেই বলবে আম খেতেই পারে। কেউ আবার বলবে আম না খাওয়ারই পরামর্শ দেয়। কিন্তু রোগীরা কী করবে তাই ভেবেই দিশেহারা হয়ে পড়ে।
বিশেজ্ঞদের কথায় রক্তে যদি চিনি বা শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক থাকে আম খেতেই পারেন। কিন্তু যাদের এই সমস্যা রয়েছে তাদের সঠিক পদ্ধতি মেনেই আম খেতে হবে। তাহলে কোনও সমস্যা হবে না। এমনিতে গোটা বছরে সুগার বা ডায়েবেটিশে আক্রান্তরা একটি আম খেতেই পারেন। কিন্তু তুলনায় একটু বেশি আম খেতে চাইলে মানতে হবে নিময়।
প্রমাণ সাইজ আমে ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ছাকে। প্রিতিদিন ফল থেকে ৩০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট আপনি নিতেই পারেন- তেমনই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। আমের মিষ্টিতে পরিবর্তিত হতে পারে। তাই দিনে যদি একটি আম খান তাহলে গোটা দিন আর অন্য কোনও মিষ্টি বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় জিনিস খেতে পারবেন না।
অনেক বিশেষজ্ঞের কথায় ফলের রাজা আম ডায়াবেটিশের রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। যদি তারা নিয়ম মেনে এটি খায় মানে তাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ও পটাসিয়ামের মাত্রা প্রস্তাবিত সীমানার মধ্যে থাকে। এই শর্তগুলি পুরণ করা হয়ে ডায়েবেটিসের রোগিরা পরিমিত আম খেতে পারেন। তবে আম খাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আম খাওয়ার ভাল নিয়ম হল ফল টুকরো টুকরো করে সরাসরি খোসা থেকে তা খেয়ে নেওয়া। এটি সাধারণ করা হয়। কারণ আমরা যখন এভাবে আম খাই তখন মুখ থেকেই শর্করা হজম হতে শুরু করে।
খোসা থেকে সরাসরি আম খাওয়ার ফলে আনরা এর স্বাগ আরও বেশি উপভোগ করতে পারি। আরও বেশি তৃপ্ত করে খাওয়া যায়। অন্যদিকে ম্যাঙ্গো শেক বা জুস হিসেবেই আম খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু তাতে ভুলেও চিনি বা কোনও মিষ্টি দেওয়া যাবে না। এটি ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।
ডায়াবেটিশে আক্রান্তরা প্রতিদিনই অর্ধেক করে আম খেতেই পারেন। তার বেশি নয়। রক্তে যদি পটাসিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে বা শর্করার মাত্রা অনিয়মিত থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই আম খান। সকালের দিয়ে শরীর চর্চার পরে আম খেতে পারেন ডায়াবেটিশে আক্রান্তরা।