সংক্ষিপ্ত

প্রবল গরম খাবার আর পানীয় বর্জন করতে বলছেন চিকিৎসকরা। কারণ গরম চা বা কফি ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

 

ধোঁয়া ওঠে এক কাপ চা বা কপি - আপনার নিশ্চিয় খুব পছন্দ। কিন্তু এবার থেকে ভুলেও গরম পানীয় এড়িয়ে চলুন। আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল জার্নালের নতুন গবেষণা রিপোর্ট বলছেন প্রবল গরম পানীয় যেকোনও বয়সের মানুষের জন্য খুব ক্ষতিকর। এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

গবেষণা রিপোর্টঃ

নতুন গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, গরম পানীয় যেমন চা বা কফি যদি ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রায় থাকে তা কখনই পান করা ঠিক নয়। সেটিকে কিছুটা ঠান্ডা করে নিয়ে তারপরই তাতে চুকুম দিন। কারণ প্রবল গরম পানীয় ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে ৭০০ মিলিলিটারের বেশি গরম চা পান করছে খাদ্যনালীর ক্যান্সারের ঝুঁকি ৯০ শতাংশ বেড়ে যায়। খাদ্যনালীর অনিয়ন্ত্রিত কোষগুলি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। ইসোফোজিয়াল ক্যান্সার হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও জানিয়েছে চা, কফির মত গরম পানীয় এবার থেকে সেই তালিকাভুক্ত। ইন্টারন্যাশানাল এজেন্সি ফর ক্যান্সার রিসার্চ অন ক্যান্সার-এর উদ্যোগে ১০টি দেশের ২৩ জন বিজ্ঞানীর একটি দল ১০০০টি গবেষণা পর্যালোচনা করেছে। তা থেকেই তারা এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে খুব গরম পানীয় ও ক্যান্সারের সঙ্গে একটি যোগসূত্র রয়েছে।

ক্যান্সার ছাড়াও সমস্যা

অত্যান্ত গরম পানীয় শুধু যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় এমনটা নয়, দীর্ঘকাল ধরে অত্যান্ত গরম পানীয় গ্রহণ করলে স্বাদ গ্রন্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোনও খাবারেরই স্বাদ পাওয়া যায় না। ঠোঁটে পোড়া দাগ হতে পারে। আবার গায়ের চামড়াতেও তার প্রভাব পড়তে পারে। প্রবল গরম খাবার ও পানীয় গ্যাস অম্বলের কারণ হতে পারে।

কত গরম খাওয়া যেতে পারে

ইরানের একটি গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতার যারা ৭০০ মিলিলিটার বা তারও বেশি গমর চা বা কফি পান করেন তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি ৯০ শতাঁশ বেড়ে যায়। মূলত খাদ্যনালীতে ক্যান্সার হয় এদের।

খাদ্যনালীতে ক্যান্সারের লক্ষ্ণ

দীর্ঘদিন ধরে কাশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

দীর্ঘদিন ধরেই বদহজম হবে। অম্বল হবে।

গলার স্বরের পরিবর্তন হতে পারে। স্বর কর্কশ হয়ে যেতে পারে।

ওজন কমে যাবে।

ক্ষূধা কমে যাবে।

খাদ্যনালী থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে।