শব্দবাজি দুইভাবে কানের ক্ষতি করে। প্রথমে এটি শ্রবণযন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। দ্বিতীয়ত শব্দবাদজির ধোঁয়া নাক ও গলার সমস্যা তৈরি করে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি হয়। শব্দবাজি বা যে কোনও বাজির ধোঁয়ায় হার্টের জন্য ক্ষতিকর। ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট হয়।
শব্দবাজির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু দেদার বাজি ফাটছে কলকাতা থেকে শুরু করে প্রত্য়ন্ত গ্রামেও। শব্দবাজির দৌরাত্ম্যে লাগাম পরাতে পারেনি প্রশাসন। দীপাবলি, কালীপুজো উপলক্ষ্যে রাতেতো বটেই সকালেও দেদার বাজি ফাটছে। এই অবস্থায় চিন্তা বাড়়ছে অসুস্থ আর শিশুদের। শব্দবাজিতে কান আর হৃদযন্ত্রের ক্ষতি হচ্ছে। দেখুন কীভাবে সুস্থ থাকা যায় শব্দবাজির দৌরাত্ম্য থেকে।
কানের ক্ষতি
শব্দবাজি দুইভাবে কানের ক্ষতি করে। প্রথমে এটি শ্রবণযন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। দ্বিতীয়ত শব্দবাদজির ধোঁয়া নাক ও গলার সমস্যা তৈরি করে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি হয়। শব্দবাজি বা যে কোনও বাজির ধোঁয়ায় হার্টের জন্য ক্ষতিকর। ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট হয়।
শব্দবাজির কারণে হঠাৎ করে কানে শুনতে না পাওয়া অথবা ভোঁ ভোঁ করে। আচমকা তীব্র শব্দে বাজি ফাটলে অথবা জোরাল শব্দ হল কিছুক্ষণের জন্য কানে তালা পড়ে যায়। এই সমস্যা কিছুক্ষণের জন্যই হয়। পরে তা ঠিক হয়ে যায়।
তবে এজাতীয় সমস্যা কিন্তু অনেক সময় দীর্ঘস্থায়ী হয়। দীপাবলির সময়ে এমন সমস্য়া তৈরি হতে বেশি সময় লাগে না। তাই শব্দ বাজির থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। প্রয়োজনে অসুস্থ আর শিশুদের কানে তুলে দিয়ে দেওয়া উচিৎ। বাড়িতে অসুস্থ ব্যক্তি থাকলে দরজা জানলা বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ।
হৃদযন্ত্রের সমস্যা
শব্দবাজি বা যে কোনও বাজির সমস্যা শব্দবাজির জন্য অনেকেরই বুক ধড়পড় করে। শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। হৃদস্পন্দনের গতি অনিয়মিত হয়। বিশেষ করে যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে, দুর্বল ব্যক্তি বা অসুস্থদের। ছোট শিশুদেরও শব্দবাজির আওয়াজ বা ধোঁয়াতে নিঃশ্বাসের সমস্যা তৈরি হয়। এদেরও বাজি পোড়়ানোর সময় বাড়ি বাইরে না যাওয়া শ্রেয়। বাড়িতে থাকলেও বিশেষজ্ঞদের কথায় ঘনঘন জল খাওয়া জরুরি। প্রয়োজনে দরজা জানলা বন্ধ করে দেওয়া ভাল। তাতে বাজির দূষিত ধোঁয়া ঘরে কিছুটি কম ছড়ায়।


