সংক্ষিপ্ত
বিশ্বে আর্থ্রাইটিস রোগের প্রকোপ ক্রমশই বাড়ছে। বিশ্বে এই রোগে আক্রান্ত ৩৫০ মিলিয়নেরও বেশি।
আর্থ্রাইটিস একটি ভয়ঙ্কর রোগ। এই রোগ মানুষকে পঙ্গু করে দিতে পারে। বিশ্বে এই রোগের প্রকোপ ক্রমশই বাড়ছে। বিশ্বে এই রোগে আক্রান্ত ৩৫০ মিলিয়নেরও বেশি। এই রোগ কিন্তু এক দিনে হয় না। রোগ সম্পর্কে ৬টি লক্ষণ রয়েছে। যা দেখতে পেলেই সাবধান হতে হবে।
১. জয়েন্টে ব্যাথা
আর্থ্রাইটিসের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে একটি হল জয়েন্টে ব্যথা এবং শক্ত হয়ে যাওয়া। এটি একদম শুরুর দিকে দেখা যায়। সেই সময় থেকে সাবধান বলে বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে সমস্যা সমাধান করা কিছুটা হলেও সম্ভব হয়। এজাতীয় ব্যাথা শুধুমাত্র সকালে হয়। সকালের দিকে সামান্য অস্বস্তি, কঠোরতা এবং ব্যথা । প্রথম দিকে সেটি স্বল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হয়। পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
২. ফোলা আর লালভাব
প্রদাহ হল বাতের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য। জয়েন্টগুলি ফুলে যায়। সেখানে খিঁচখিঁচে ব্যাথা হয়। জয়েন্টগুলি গরম হয়ে থাকে। অস্বাভাবিক জয়েন্টে ব্যথা, ফোলাভাব এবং লালভাব দেখা দেওয়ার মতো পরিস্থিতিতে আপনার ডাক্তারের কাছে যাওয়া আবশ্যক।
৩. গতি কমে যায়
আর্থ্রাইটিসের ফলে জয়েন্টের গতিশীলতাও কিছু সময়ের জন্য কমে যেতে পারে যদি তাড়াতাড়ি চিকিৎসা না করা হয়। প্রথম দিকে এটি খুব কম সময়ের জন্য হয়। পরবর্তীকালে এটি দ্রুত বাড়তে থাকে। বাতের কারণে জয়েন্টের হাড় অনেক সময় বেঁকে যায়। বাতের কারণ অনেক সময় জয়েন্টের হাড় সোজা হয়ে থাকে, বাঁকাতে কষ্ট হয়। অনেক সময় বেঁকে যায়। সোজা করা যায় না। শার্টের বোতাম লাগান বা সিঁড়ি দিয়ে নামার মত সহজ কাজগুলি কঠিন হয় যায়।
৪. ক্লান্তি ও দুর্বলতা
আর্থ্রাইটিস শুধুমাত্র জয়েন্টের ব্যাথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বাতে আক্রান্তরা ধীরে ধীরে ক্লান্ত হয়ে যায়। বাতের কারণে ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়, চুল পড়ে যায়, কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা যায়।
৫.সকালের আড়ষ্টতা
আর্থ্রাইটিসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরই আড়ষ্ঠ হয়ে থাকা। ঘুম থেকে ওঠার পরে নড়াচড়ার ক্ষমতা পর্যন্ত থাকে না। শক্তি পর্যন্ত অনেকটা কমে যায়। ধীরে ধীরে শরীর স্বাভাবিক হয়।
৬. অসাড়তা ও টিংলিং
আর্থ্রাইটিসে, জয়েন্টগুলি ছাড়াও পার্শ্ববর্তী টিস্যু এবং স্নায়ুগুলিও স্ফীত হতে পারে। এছাড়াও, টেন্ডন এবং স্নায়ুর স্থানীয় সংকোচন ফুলে যাওয়া এবং বিকৃতির কারণে ঘটতে পারে। এটি পীড়িত এলাকায় কাঁপুনি, ব্যথা বা অসাড়তা তৈরি করতে পারে। আপনি যদি এই ধরনের উপসর্গ অনুভব করেন তবে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যদি সেগুলি অন্যান্য জয়েন্ট-সম্পর্কিত সমস্যার সাথে দেখা দেয়।
বাতের সমস্যা দেখা দিলে প্রথম থেকেই চিকিৎসার প্রয়োজন। সঠিক উপচর্যার প্রয়োজন রয়েছে।