সংক্ষিপ্ত

ত্বকের যে অংশে ভাঁজ তৈরি হয় সেখানে তাদের হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যদিও আঁচিল কোনও ক্ষতি করে না, তারা অবশ্যই অস্বস্তিকর।

 

অনেকেরই সাধারণত মুখে বা ঘাড়ে শরীরের অন্যান্য অংশে আঁচিলের সমস্যা থাকে। আঙ্গুল, ঘাড়, মুখ বা অন্যান্য অনুরূপ জায়গায় এই আঁচিলগুলি হঠাৎ দেখা দেয়। সাধারণত, ত্বকের যে অংশে ভাঁজ তৈরি হয় সেখানে তাদের হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যদিও আঁচিল কোনও ক্ষতি করে না, তারা অবশ্যই অস্বস্তিকর।

তবে, এমন অনেক ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে যার সাহায্যে আপনি এই আঁচিলগুলি দূর করতে পারেন। আজ আমরা আপনাকে এমন কিছু প্রয়োজনীয় তেলের কথা বলব যা দিনে দুবার লাগালে আঁচিল দূর হবে মাত্র কয়েক দিনেই।

১) নিম তেল-

নিম তেল সৌন্দর্য পণ্য এবং একটি প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসাবে শতাব্দী ধরে ব্যবহার করা হয়েছে। নিমের তেলে অনেক অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা আঁচিলের চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারেন। আঁচিলের উপর এই তেলটি দেওয়ার আগে, এটি অন্য কোনও তেলের সঙ্গে মেশান এবং তারপর এটি ব্যবহার করুন।

২) টি ট্রি অয়েল-

এই তেলে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকে। এটি ত্বকের জন্য খুব ভালো, তাই এটি সাবান এবং শ্যাম্পুর মতো পণ্যগুলিতে ব্যবহৃত হয়। টি ট্রি অয়েল সরাসরি আঁচিলে লাগাতে পারেন। কয়েক মাসে এটি দিনে দুবার ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।

৩) দারুচিনির ছাল তেল-

দারুচিনিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল যৌগ বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। এটি ঐতিহ্যগতভাবে বিভিন্ন ঔষধি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। দারুচিনি তেল খুবই কার্যকরী এবং এটা যদি আঁচিলের উপর দেওয়া হয় তাহলে সেগুলো চলে যায়। এই তেল সরাসরি দেওয়া উচিত নয়, অন্যথায় ত্বকে জ্বালা হতে শুরু করে। দারুচিনি অন্য কোনও এসেনশিয়াল অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে লাগান।

৪) অরিগানো তেল-

খাবার ও পানীয়ের সঙ্গে ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবেও অরিগানো তেল ব্যবহার করা হয়। এই তেলে অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ব্যথা উপশমকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ওরিগানো তেলও আঁচিলের চিকিৎসায় খুবই সহায়ক। আপনি দিনে একবার এই তেল ব্যবহার করে সেরা ফলাফল পেতে পারেন। গর্ভবতী মহিলাদের অরিগানো তেল ব্যবহার করা উচিত নয়।

৫) লোবান তেল

লোবান একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় অপরিহার্য তেল যা অ্যারোমাথেরাপি এবং ঘরোয়া প্রতিকারে ব্যবহৃত হয়। এটি ধর্মীয় ও ঐতিহ্যবাহী আচার-অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। লোবানের মধ্যে রয়েছে অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং ক্ষত নিরাময়ের বৈশিষ্ট্য যা আঁচিলের চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে। এটি ব্যবহার করার জন্য, তুলোতে কয়েক ফোঁটা লোবান তেল রাখুন এবং তারপরে এটি ময়দার উপরে রাখুন। এর পর একটি টেপ দিয়ে ঢেকে দিন। সপ্তাহে দুবার এটি করলে আঁচিল থেকে মুক্তি মিলবে।

৬) লবঙ্গ তেল

লবঙ্গ তেল আঁচিল সহ অনেক রোগের ঔষধি হিসাবে ব্যবহৃত হয়। লবঙ্গ তেলে অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা আঁচিলের চিকিত্সার জন্য পরিচিত। এই তেলটি দিনে দুবার আঁচড়ে লাগান।