সংক্ষিপ্ত

পেয়ারা বছরের অধিকাংশ সময়ই পাওয়া যায়। তাই সারা বছরই চেষ্টা করুন নিয়মিত পেয়ারা খাওয়ার।

 

পেয়ারা খুব সাধারণ এই ফলটি কিন্তু শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে এটি শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকরই নয়, এটির মধ্যে লুকিয়ে রূপলাবণ্যের গোপন কথা। এটি একটি মিষ্টি আর সরস ফলের পর্যায়ে পড়ে। কথিত আছে ডক্টর বিধানচন্দ্র রায় তাঁর রোগীদের নিয়মিত পেয়ারা খাওয়ার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এই ফলটি বছরের অধিকাংশ সময়ই পাওয়া যায়। তাই সারা বছরই চেষ্টা করুন নিয়মিত পেয়ারা খাওয়ার। পেয়ারার ৮টি আশ্চার্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। আসুন দেখেনি সেগুলি।

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

পেয়ারা ভিটামিন সি-র একটি চমৎকার উৎস। ভিটামিন সি ইমিউন বুস্টার হিসেবে কাজ করে। এটি শরীরকে সংক্রমণ ও রোগ থেকে বাঁচাতে পারে।

২. হজমে সাহায্য়

পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এটি পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। একটি পেয়ারাতে প্রায় তিন গ্রাম ফাইবার থাকে। যা দৈন্দদিন খাওয়ারের প্রায় ১২ শতাংশ। কষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে পেয়ারা উপকারি।

৩. ডায়াবেটিস

পেয়ারা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এটি একটি সুপার ফুড। একটি গ্লাইসেমিক সূচক কমতে থাকে, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে দেয় না।

৪. হার্টের স্বাস্থ্য

পেয়ারা একটি হৃদরোগীদের স্বাস্থ্যকর ফল, এর উচ্চমাত্রায় পটাসিয়াম থাকে। পটাসিয়াম একটি অপরিহার্য খনিজ যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং আমাদের হৃদয়কে সুস্থ রাখে।

৫. অ্যান্টি ক্যান্সার

পেয়ারার উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান এটিকে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি শক্তিশালী ফল করে তোলে। পেয়ারা লাইকোপেন সমৃদ্ধ, একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা এর ক্যান্সার-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত।

৬. ত্বকের স্বাস্থ্য

পেয়ারা ভিটামিন সি এর একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল ত্বক বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য, যা আমাদের ত্বককে তার স্থিতিস্থাপকতা এবং দৃঢ়তা দেয়।

৭. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়

পেয়ারা আমাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্যও দারুণ। পেয়ারাতে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্ককে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।