সংক্ষিপ্ত

গরমকালে প্রবল এই অস্বস্তিকর অবস্থা শরীর আর স্বাস্থ্যের ওপর কিকি বিপজ্জনক প্রভাবগুলি ফেলে। একই সঙ্গে সমস্যা কাটিয়ে ওঠার প্রতিকারও।

 

চলতি বছর লম্বা ইনিংস খেলবে। সঙ্গে দীর্ঘ তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসই দিয়ে রেখেছে দেশের মৌসম ভবন। চৈত্রের দাবদহ শুরু। চলবে সেই জুন মাস পর্যন্ত। যার কারণে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যমন্ত্রক একাধিক সতর্কতা জারি ককেছে। এই অবস্থায় দেখেনিন গরমকালে প্রবল এই অস্বস্তিকর অবস্থা শরীর আর স্বাস্থ্যের ওপর কিকি বিপজ্জনক প্রভাবগুলি ফেলে। একই সঙ্গে সমস্যা কাটিয়ে ওঠার প্রতিকারও।

১। গ্রীষ্মকালে হাইড্রেটেড থাকা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। প্রবল এই তাপমাত্রার কারণে শরীর যে কোনও সময়ই ডিহাইড্রেটেড হয়ে যাবে পারে। মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, মাথাযন্ত্রণে এগুলি প্রাথমিক লক্ষণ। তাই এজাতীয় সমস্যা হলেই প্রচুর জল খেতে হবে।

২। প্রবল রোগের কারণে গ্রীষ্মকালে ত্বকের বিশেষ ক্ষতি হয়। চুলকানি, ব়্যাশ দেখা দেয়। পাশাপাশি রোদের কারণে ত্বক পুড়ে কালো হয়ে যায়। ক্ষতিকারক UV রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করা রোদে পোড়া, অকাল বার্ধক্য এবং ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য অপরিহার্য। একটি উচ্চ এসপিএফ সহ সানস্ক্রিন পরা, সর্বোচ্চ সূর্যের সময় ছায়া খোঁজা এবং প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরা সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করতে পারে।

৩। ফল, শাকসবজি, চর্বিহীন প্রোটিন এবং গোটা শস্য সমৃদ্ধ একটি সুষম খাদ্য গ্রীষ্মকালে সবথেকে ভাল। গ্রীষ্মকালে অনেকেরই হজম ও পেটের সমস্যা দেখা দেয়। তাই হালকা ও পুষ্টিকর খাবার জরুরি।

৪। গ্রীষ্মকালে অ্যালার্জি বা শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এগুলি থেকে প্রোয়জনীয় সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।

৫। যাদের পূর্ব-বিদ্যমান চিকিৎসা পরিস্থিতি বা ঝুঁকির কারণ রয়েছে, তাদের জন্য স্বাস্থ্যের অবস্থা নিরীক্ষণ করতে এবং উদ্ভূত যে কোনও উদ্বেগকে সমাধান করার জন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সাথে নিয়মিত চেক-আপ করা অপরিহার্য। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা, কোলেস্টেরল স্ক্রীনিং, এবং রক্তচাপ পরিমাপ সামগ্রিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করতে পারে এবং সম্ভাব্য সমস্যাগুলি প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে।

৬। গ্রীষ্মকালে প্রচুর ঘাম হয়। অথবা শুষ্ক আবহাওয়ার জন্য প্রাণ হাঁসফাঁস করে। এই পরিস্থিতিতে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রয়োজনী খাবার খাওয়া জরুরি। এই সময় প্রচুর পরিমাণে তাজা ফল বা সরবর উপকারী। প্রয়োজনে পাতে টক দই রাখতেই পারেন।

৭। গ্রীষ্মকালে জ্বর সর্দি,কাশি, গলা ব্যাথা প্রায়ই হয়। ঠান্ডা-গরম থেকে এজাতীয় সমস্যা তৈরি হয়। অনেক সময়ে ঘাম বসে, বারবার ঠান্ডা জল খেলে এজাতীয় সমস্যা দেখা দেয়। তাই ফ্রিজের জলের পরিবর্তে ঘরের সাধারণ তাপমাত্রার জল পান করুন। আইসক্রিম বা কোল্ডড্রিংকস এড়িয়ে চলুন।