সংক্ষিপ্ত

ফল, শাকসবি খাবার পর জল খেতেই পারেন। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা পরিপাকতন্ত্রকে হজমে সাহায্য করে। আমাদের শরীর থেকে টকসিন বের করে দিতেও এটি সাহায্য করে।

 

জল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের বেঁচে থাকার উপাদানও হল জল। যে কোনও খাবার হজমের জন্য জল অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না খেলে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু খাবার খাওয়ার পরপর বা খাবার খেতে জল পান করা অত্যান্ত বিপদজনক। একে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। কিছু খাবার রয়েছে যা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জল পান করলে সমস্যা হয় না। কিন্তু এমন কিছু খাবার রয়েছে যা খাবার পরপর যদি জল খান তাহলে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়।

ফল, শাকসবি খাবার পর জল খেতেই পারেন। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা পরিপাকতন্ত্রকে হজমে সাহায্য করে। আমাদের শরীর থেকে টকসিন বের করে দিতেও এটি সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণে জল খেলে পরিপাকতন্ত্র থেকে ফাইবারগুলি সরতে থাকে। এটি নিশ্চিত করে যে গোটা শরীর পুষ্টি পাচ্ছে। তবে কয়েকটি ফল রয়েছে - যেমন পেয়ারা, কলা , আপেল, তরমুজ এগুলি খাবার সঙ্গে সঙ্গে জল পান উচিৎ নয়। তাতে হজমের সমস্যা দেখা দেয়।

পাঁউরুটি, পাল্টা, আলু জাতীয় খাবার খাওয়ার ঠিক পরেই জল পান করা খাবার। এই খাবারগুলির পরে বেশি জল খেলে বদ হজম হয়। তবে বেশ কিছুক্ষণ পরে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে সমস্যা হয় না। জল পাকস্থলীর অ্য়াসিডকে পালচা করতে পারে, যা স্টার্চি খাবার ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে। যারফলে হজম শক্তি ধীর গতিতে কাজ করে। যার কারণে গ্যাস অম্বলের মত সমস্যা লেগেই থাকে।

ভারি কোনও খাবার যেমন ভাত বা রুটি বা লুচি পরোটা খাবার পরপর জল খাওয়া ঠিক নয়। শরীরে নেচিবাচক প্রভাব পড়ে। হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। এজাতীয় খাবার থেকে শরীর যে পুষ্টি শোষণ করে তা ধীর করে দেয় জল। খাবার খেয়েই বরফ ঠান্ডা জল খাওয়া আরও ক্ষতিকর। কারণ খাবারের পুষ্টির কারণে শরীর সেই সময় কিছুটা গরম থাকে। কিন্তু ঠান্ডা জল শরীরে সেই সময় প্রবেশ মানেই অস্বস্তি তৈরি করা । হজমের সমস্যা করা। খাবার পর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পরে বরফ ঠান্ডা জল পান করে। আর সাধারণ উষ্ণতায় থাকা জল খাওয়ার জন্য কমপক্ষে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।

আপনি যদি আপনার হজমে সাহায্য করার পাশাপাশি হাইড্রেটেড থাকার একটি সুস্বাদু উপায় খুঁজছেন, খাবারের পরে কিছু গরম ভেষজ চায়ে চুমুক দেওয়ার চেষ্টা করুন। আদা, পেপারমিন্ট এবং ক্যামোমাইলের মতো অনেক ভেষজ বহু শতাব্দী ধরে হজমে সহায়তা করতে এবং ফোলাভাব কমাতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গরম চা পান করা একটি বড় খাবারের পরে আপনার শরীর এবং মনকে শিথিল করতেও সাহায্য করতে পারে, সঠিক হজম এবং শিথিলতা প্রচার করে।

তবে নিজেকে হাইড্রেটেট রাখার জন্য আপনি নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খেতেই পারেন। তাতে শারীরিক অনেক সমস্যা মিটে যায়। জলের পরিবর্তে পুষ্টিকর ফলও খেতে পারে। চাইলে সরবতও জলের অভাব পুরণ করতে পারে। কিন্তু তৃষ্ণা মেটানোর জন্য সাদা বা প্লেন জলই উপকারী। তবে হজমের জন্য কোল্ডড্রিঙ্কস কিন্তু খুবই খাপার। কোনও কৃত্রিম মিষ্টি দেওয়ার পানীয় খেলে অবশ্যই তরপর একটি সাদা জল পান করতে পারনে। তাতে হজমের সমস্যা সমাধান হয়।