সংক্ষিপ্ত
একাধিক বার স্নান করা মোটেই ক্ষতিকর নয়, তাও আবার এই গরমে। যেখাবে ফ্যানের তলায় বসলেও ঘাম হচ্ছে। গরমের হাত থেকে বাঁচতে একাধিকবার স্নান করলে স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি হয় না।
তাপমাত্রার পারদ ক্রমশই চড়ছে। আপাতত স্বস্তির কোনও কবর শোনায়নি আলিপুর হাওয়া অফিস। কিন্তু আগেই দেশের আবহাওয়া দফতর জানিয়ে লম্বা হবে গরম। পাল্লা দিয়ে তাপপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করেছে। ১০ দিনের স্পেলে তাপপ্রবাহ চলবে বলেও পূর্বাভাস। ইতিমধ্যেই কলকাতাসহ রাজ্যের বেশ কিছু এলাকার তাপমাত্রা পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কোটা পার করেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। অস্বস্তি। হাঁসফাঁস গরমে বাঁচতে অনেকেই একাধিকবার স্নান করছেন। তাতে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন একাধিকবার স্নান করা কি ভাল না স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
বিশেষজ্ঞদের কথায় একাধিক বার স্নান করা মোটেই ক্ষতিকর নয়, তাও আবার এই গরমে। যেখাবে ফ্যানের তলায় বসলেও ঘাম হচ্ছে। গরমের হাত থেকে বাঁচতে একাধিকবার স্নান করলে স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি হয় না। বরং স্বস্তি পাওয়া যায়। এতে দেশের অন্দরের তাপমাত্র স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরে আসে। হিটস্ট্রোক বা হিট এক্সহউশনের আশঙ্কা কমে। তাই গরমকালে সময় পেলে স্নান করতেই পারেন।
দিন ঠিক কত বার স্নান করা যায় তাই নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের কথায় দিনে দুই থেকে তিন বার স্নান করতে পরেন। যারা গরমেও বাইরে কজ করছেন, তারা সময় পেলেই স্নান করতে পারেন। তবে শর্ত একটাই ঘাম গায়ে স্নান কখনই করবেন না। তাতে ঠান্ডা গেলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। গায়ের ঘাম শুকিয়ে তবেই ঠান্ডা বা ইষদউষ্ণ জলে স্নান করুন। এতে তাপ জনিত সমস্যা দূর হবে। বিশেষজ্ঞদের কথায় বারবার স্নান করলে গরমকালে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে না। তবে ঘাম শুকিয়ে স্নান করাই শ্রেয়।
অনেকেই আবার গরমকালে বরফ জলে স্নান করেন। কিন্তু এটি ঠিক নয় বলেও দাবি বিশেষজ্ঞদের। তাদের কথায় এতে সাধারণ মানুষদের ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে। আর যাদের বাত, অ্যাজমা রয়েছে তাদের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। ফুসফুসের সমস্যা দেখা যায় বরফজলে স্নান করলে। তাই সাধারণ তাপমাত্রার জলেই স্নানের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।