সংক্ষিপ্ত

বিশ্বের সবথেকে বেশি ব্যবহৃত পানীয় হল চা আর কফি। এই দুটি সর্বাধিক জনপ্রিয়।

 

বিশ্বের সবথেকে বেশি ব্যবহৃত পানীয় হল চা আর কফি। এই দুটি সর্বাধিক জনপ্রিয়। কিন্তু স্বাস্থ্যের দিক থেকে কোনটি বেশি উপকারী, কোনটি স্বাস্থ্যকর সেটা জানা খুবই জরুরি।

চা না কফি কোনটি বেশি উপকারী-

প্রথমেই কফি মাগে চুমুক দিনঃ

কফিতে প্রাণশক্তি বৃদ্ধি পায়। এটি মনকে তীক্ষ্ণ করার জন্য সুপরিচিত। এটিতে ক্যাফিন থাকায় কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে। পরিমিত ক্যাফিন মেজাজ ভাল করতে পারে, সকালে এক কাপ কফি নিত্য দিন প্রয়োজনী।

কফিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণে যৌগ থাকে। যা আমাদের কোষকে মুক্ত ব়্যাডিক্যাল সৃষ্টি করতে পারে। এটি হৃদরোগ, ক্যান্সার ও অ্যালঝাইমারের মত দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।

কফি খাওয়ার ক্ষেত্রে সংযম গুরুত্বপূর্ণ। অত্যধিক ক্যাফেইন উদ্বেগ, অস্থিরতা এবং অনিদ্রার মতো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এটি হৃদস্পন্দনের কারণ হতে পারে এবং কিছু ব্যক্তির রক্তচাপ বৃদ্ধি করতে পারে।

এবার আসি চা-এর কাপেঃ

হাজার বছর ধরেই মানুষ চা পান করছে। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় জনপ্রিয় পানীয়। চা কিন্তু খুবই স্বাস্থ্যকর। বিভিন্ন ধরনের স্বাদের চা পাওয়া যায়। চা স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

চায়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রাচুর্য হল এর অন্যতম প্রধান স্বাস্থ্য সুবিধা। কফির মতো, চায়ে পাওয়া পলিফেনলগুলির প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক প্রভাব রয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি, এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি সাধারণ স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে পারে।

চায়ের আরও একটি স্বাস্থ্যকর হল বিষয় হল এতে ক্যাফেইন খুব কম থাকে। কফির তুলনায় চায়ে ক্যাফেইন কম থাকে। তবে চায়ে প্রচুর থেনাইন রয়েছে। এটি অ্যামিনো অ্যাসিড। যা চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। তাই চা হৃদরোগ সারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। স্ট্রোক ও রক্তের উচ্চচাপ কমায়। চায়ে ফ্ল্যাভোনয়েডের উপস্থিতির কারণে রক্তনালীর কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে। এটি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

চা কিন্তু নানা ধরনের হয়- কালো , সাদা আর সবুদ। ভেষজ চাও পাওয়া যায়। বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাতচাও পাওয়া যায়।

কোনটি স্বাস্থ্যকর-

চা ও কফি দুটিই স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। তবে বেশি পরিমাণে চা বা কফি খাওয়া ঠিক নয়। দুটির ক্ষেত্রেই মাত্রা বজায় রাখা জরুরি।