HEALTH CARE: তুলসী থেকে আদা আমাদের ঘরোয়া বিভিন্ন জিনিস গুলি দিয়ে অতি সহজেই আমরা আমাদের রোগ প্রতিশোধক ক্ষমতাটা কে বাড়িয়ে তুলতে পারি।। যেটা আমাদের ঘরোয়া সব রকম রান্নার কাজে এবং সব রকম ভাবে রোগভোগের অ্যান্টি ডট হিসাবে কাজ করে।
বাচ্চা থেকে শুরু করে বড়রা পর্যন্ত নানা কারণে সিজনচেঞ্জ হলেই সর্দি-কাশিতে ভোগেন বা ইমিউনিটি পাওয়ারের অনেক সময় ঘাটতি ঘটে। দৈনন্দিন জীবনযাত্রা, মানসিক চাপ এবং অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে অনেক সময় আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। এর ফলে সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে নানা গুরুতর রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
শরীর সুস্থ রাখার উপায়
এলোপ্যাথি ওষুধের সাথে সাথে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাও দিনে দিনে প্রচুর বেড়ে চলেছে। বাচ্চা থেকে বয়স্কদের পর্যন্ত এই চিকিৎসা খুবই কাজে লাগে। অনেক দিনের জমে থাকা অসুখ পর্যন্ত আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার দ্বারা নির্মূল করা সম্ভব হয়। আয়ুর্বেদ এবং আধুনিক বিজ্ঞান উভয়ই জোর দিয়ে বলে যে সুস্থ এবং সক্রিয় থাকতে হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখা জরুরি।
এই জন্য অনেকেই দামী ওষুধ কিংবা বিশেষ স্বাস্থ্যকর জিনিসের আশ্রয় নেন। তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি বিভিন্ন রকম টোটকা বা প্রাকৃতিক জিনিসের দ্বারা সহজেই নিজেদেরকে বিভিন্ন রকম রোগভোগ থেকে প্রটেকশন দেওয়া সম্ভব। জীবনের কিছু সাধারণ এবং ঘরোয়া উপায়ও খুবই কার্যকর হতে পারে। জেনে নেওয়া যাক সেসব উপায় সম্পর্কে—
যেমন আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস আদা। যেটা আমাদের ঘরোয়া সব রকম রান্নার কাজে এবং সব রকম ভাবে রোগভোগের অ্যান্টি ডট হিসাবে কাজ করে। আয়ুর্বেদে আদাকে গুণে ভরপুর ধরা হয়। এতে এমন উপাদান থাকে যা শরীরের প্রদাহ কমায় এবং ক্ষতিকর জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এর ব্যবহারও বেশ সহজ। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ছোট একটি আদার টুকরো চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে। আবার আদার রস বার করে তাতে লেবু মিশিয়ে পান করাও উপকারী। চাইলে রান্নায় নিয়মিত আদা ব্যবহার করতে পারেন। এতে শুধু খাবারের স্বাদই বাড়বে না, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী হবে।
আরেকটি প্রধান উপাদান বলতে পারেন আমাদের রান্নার কাজে এবং আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী হল হলুদ। হলুদ আমরা অনেক সময় দুধের সাথে মিশিয়ে খাই কোনরকম সর্দি কাশি হলে অথবা আমরা শীতকালে বা সারা বছরই নিয়মিত যদি সকাল বেলা খালি পেটে এক টুকরো কাচা হলুদ তার সাথে একটু মধু দিয়ে চিবিয়ে খাওয়া হয় বা গুড় দিয়ে চিবিয়ে খাওয় হয় সেক্ষেত্রে আমাদের হলুদ অ্যান্টি ডটের কাজ করে এবং ইমিউনিটি পাওয়ার ও আমাদের শরীরে অনেক বাড়িয়ে তোলে। হলুদ তার ঔষধি গুণের জন্য সুপরিচিত, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। এতে এমন একটি সক্রিয় উপাদান রয়েছে যা শরীরের ভিতরে প্রদাহ কমায় এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে প্রতিদিন পান করলে শুধু ইমিউনিটি মজবুত হয় না, বরং শরীর ভিতর থেকে পরিষ্কারও হয়।
গিলয় আয়ুর্বেদে একটি জনপ্রিয় ভেষজ, যা ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এতে প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক গুণ রয়েছে। গিলয় পাতা সরাসরি চিবিয়ে খাওয়া যায় অথবা এর পাতার রস বার করে পান করা যায়। এছাড়া, গিলয়ের গুঁড়ো গরম জলে মিশিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যায়। এটি শুধু ইমিউনিটি বাড়ায় না, শরীরকে নানা রোগ থেকেও রক্ষা করে।
এছাড়া আছে ত্রিফলা। যা হল তিন ধরনের শুকনো ফলের মিশ্রণ, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটি শরীর থেকে ক্ষতিকর বিষাক্ত উপাদান বার করে দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। এর ব্যবহারও সহজ—রাতে এক গ্লাস জলে ত্রিফলা গুঁড়ো ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে পান করতে হবে। চাইলে এটি দুধেও মিশিয়ে খাওয়া যায়, যা আরও কার্যকর হয়।
তুলসী তো আমাদের সকলের ঘরে ঘরে। তুলসীর গুনাগুন নতুন করে বলার কিছু নেই। তুলসী পাতা এমনই একটি জিনিস যা আপনি চায়ের সাথে বা সর্দি কাশি হলে শুধু চিবিয়ে খেলেও এর প্রচুর গুন। তুলসিও শরীরকে রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এতে এমন উপাদান রয়েছে, যা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। প্রতিদিন সকালে তাজা তুলসি পাতা চিবিয়ে খাওয়া অথবা তুলসির রসে অল্প মধু মিশিয়ে পান করা উপকারী। তুলসির গুঁড়োও তৈরি করে ওষুধের মতো ব্যবহার করা যায়।


