সংক্ষিপ্ত
ফ্রিজে রাখা খাবার যে কোনও মানুষের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর। তবে শাক-সবজি কিছুদিনের জন্য ফ্রিজে স্টোর করা যেতেই পারে। কিন্তু ফল ফ্রিজে রেখে না খাওয়াই শ্রেয়।
শাক-সবজি বা ফল সর্বদা তাজাই খাওয়া শ্রেয়। অনেকেই মনে করেন ফ্রিজে শাক সবজি বা ফল রেখে দিলে তা দীর্ঘ সময় ধরেই তাজা থাকে। শরীরের জন্য সেগুলি খুবই উপকারী। কিন্তু আদতে তা নয়। শাক-সবজি বা ফল কিন্তু মোটেও ফ্রিজে রেখে খাওয়া ঠিক নয়। কারণ ফ্রিজে রাখা খাবার যে কোনও মানুষের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর। তবে শাক-সবজি কিছুদিনের জন্য ফ্রিজে স্টোর করা যেতেই পারে। কিন্তু ফল ফ্রিজে রেখে না খাওয়াই শ্রেয়। কতগুলি ফল রয়েছে যেগুলি ফ্রিজে রেখে খাওয়া যে কোনও মানুষের জন্য মারাত্মক হয়ে পারে। ফ্রিজে রাখা ফল উপকারি হয় না। এগুলি অনেক সময় বিষাক্ত হয়ে যেতে পারে।
কোন কোন ফল কখনই ফ্রিজে রাখে খাবেন না রইল তারই ছোট্ট তালিকা
কলা
কলা এমন একটি ফল যা কখনই ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। কলা ফ্রিজে রাখলে খুব দ্রুত কালো হয়ে যায়। কলার ডাঁটা থেকে ইথিলিন গ্যাস বের হয়, যা অন্যান্য ফল দ্রুত পাকে, তাই কলা কখনই ফ্রিজে বা অন্য ফলের সঙ্গে রাখা উচিত নয়।
তরমুজ
গ্রীষ্মকালে মানুষ প্রচুর পরিমাণে তরমুজ খান। কিন্তু এই ফলটি এত বড় যে একা একা খাওয়া কঠিন। তাই অনেকেই কেটে তরমুজ ফ্রিজে রেখে বেশ কয়েক দিন ধরে খান। কিন্তু এটা খুবই অস্বাস্থ্যকর খাবার। ফ্রিজে তরমুজ রাখলে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট নষ্ট হয়ে যায়। তবে ফ্রিজে তরমুজ রাখলেও খাবার কিছুক্ষণ আগেই তা বার করে রাখতে হবে। তবে তরমুজ কেটে পিস পিস করে ফ্রিজে রাখবেন না।
আপেল
আপেল ফ্রিজে রাকতে তাড়াতাড়ি পেকে যায়। কারণ হল আপেলে থাকা এনজাইম। তাই আপেল কখনই দীর্ঘ দিন ধরে ফ্রিজে রাখবেন না। যদি কয়েক দিনের জন্য আপেল ফ্রিজে রাখতে হয় তাহলে কাগজে মুড়ে রাখতে হবে। তেমনই জাম, চেরি ও পীচ ফল কখনই ফ্রিজে রেখে খাবেন না।
আম
আম কখনই ফ্রিজে রাখবেন না। আমে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট নষ্ট হয়ে যায়। আমের পুষ্টিগুণও নষ্ট হয়ে যায়। কার্বাইড দিয়ে আম পাকান হয়। তাই সেটি ফ্রিজের জলে মিশে গেলে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
লিচু
গ্রীষ্মে সুস্বাদু লিচু ফ্রিজে রাখতে ভুলবেন না। লিচু ফ্রিজে রাখলে এর ওপরের অংশ আগের মতোই থাকে কিন্তু ভেতর থেকে পাল্প নষ্ট হতে থাকে। এটি খুবই অস্বাস্থ্যকর।
আরও পড়ুনঃ
Horoscope: সম্পর্ক-প্রেম টিকিয়ে রাখার জন্য এই পাঁচ রাশি সবরকম চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত
Dengue:ডেঙ্গু থেকে সুস্থ এই খাবারগুলি নিয়মিত পাতে রাখুন, দ্রুত প্লেটলেট বাড়িয়ে সুস্থ করে দেবে