সংক্ষিপ্ত

পিরিয়ড মানেই পেনকিলার। এটাই যেন দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। কিন্তু জানেন কি, এমন কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে, যা মেনে চললে নিমেষে মুক্তি পাবেন পিরিয়ডের  ব্যথা থেকে। 

পিরিয়ড নিয়ে হাজারো সমস্যা প্রতিনিয়তই সামলাচ্ছেন মেয়েরা।  কিন্তু মাসের ওই কয়েকটা দিনেও হাঁফ ছেড়ে বাঁচার ফুরসত মেলেনা মেয়েদের। পিরিয়ড হলেই শরীরে অস্বস্তি, শরীর দুর্বল, কোমর, তলপেটে ব্যথা এসব নিয়ে কাহিল হয়ে পড়েন। দিনের শেষে অফিস-পরিবার সব সামলেও অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করে দিন কাটাতে হয় মেয়েদের। ব্যথা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়লেই তখনই ব্যথার ওষুধ  ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। আর সহ্য করতে না পারলে ব্যথার ওষুধ তো রয়েইছে। এর সাইড এফেক্টও রয়েছে অনেক। পিরিয়ড মানেই পেনকিলার। এটাই যেন দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। কিন্তু জানেন কি, এমন কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে, যা মেনে চললে নিমেষে মুক্তি পাবেন পিরিয়ডের  ব্যথা থেকে। 

পিরিয়ড চলাকালীন অসহ্য যন্ত্রণার  অন্যতম বড় কারণ হল জরায়ু মোটা এবং আয়তনে বড় হয়ে যাওয়া। এর নাম অ্যাডেনোমায়োসিন। এর ফলে শরীরের মধ্যে নানা  রোগ বাসা বাঁধে। এর মূল প্রভাব পড়ে জরায়ুতে। যরা ফলে পিরিয়ডে সমস্যা শুরু হয়। মাসিক শুরু হওয়ার আগে মেয়েদের যে শারীরিক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়, তার থেকে মুক্তি দেয় আদা। মাসিক শুরুর আগে টানা ৭ দিন আদার জল পান করলে ভাল ফল পাওয়া যাবে। আবার মাসিক  চলাকালীন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ থেকে মুক্তি  দিতে পারে এই আদা।যারা পিরিয়ডের ব্যথায় ভুগছেন, তাদের জন্য ভীষণ উপকারী একটি প্রাকৃতিক ওষুধ হল দারুচিনি। অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এই দারুচিনি। আনারসের মধ্যে ব্রোমেলিন নামক এক উপাদান থাকে যা ইউটেরাসের লাইনিং ঠিক করে এবং সঠিক সময়ে মাসিক হতে সাহায্য করে। এটি অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এবং ব্যথা কমানোর গুণ রয়েছে।

যাদের পিসিওএস -এর সমস্যা রয়েছে,তাদের জন্য অ্যাপেল সিডার ভিনিগার পান করা ভীষণ উপকারি। এটি খেলে নিয়মিত মাসিক হতে সাহায্য করে। এবং তলপেটের ব্যথায় মুক্তি মেলে অনিয়মিত মাসিকের জন্য জিরে ভীষণ উপকারি। গরম জলে জিরে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেট পান করুন। মাসিকের সময় মানসিক উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে রাখে এই মশলা। পিরিয়ডের সময়টাতে তলপেটে ব্যথা হলে গরম জলের সেঁক দিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ গরম জল দিলে পেটের ব্যথা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবেন। চাইলে হালকা গরম জলে স্নান করুন। পিরিয়ডের এই  সময়টাতে অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার না খাওয়াই ভাল। তেল, মশলাযুক্ত  খাবার, ফাস্টফুড বন্ধ করে দিন। এবং ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামে পরিপূর্ণ খাবার রাখুন।