সংক্ষিপ্ত
হিমোগ্লোবিনের অভাবের কারণে ক্লান্ত, দুর্বল হতে যেতে পারে যে কোনও মানুষ। জন্ডিস বা ঘনঘন মাথা ব্যাথার মত উপসর্গগুলিও দেখা দিতে পারে।
হিমোগ্লোবিন একটি প্রোটিন যা লোহিত রক্তকণিতায় পাওয়া যায়। রক্তকণিকার কাজ হল শরীরের চারপাশে অক্সিজেন বহন করায কম হিমোগ্লোবিনের মাত্রার কারণে শরীরের কার্যকারিতা খারাপভাবে প্রভাবিত হতে পারে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম হলে রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা দেয়। লিভার বা কিডনির রোগও হতে পারে। হিমোগ্লোবিনের অভাবের কারণে ক্লান্ত, দুর্বল হতে যেতে পারে যে কোনও মানুষ। জন্ডিস বা ঘনঘন মাথা ব্যাথার মত উপসর্গগুলিও দেখা দিতে পারে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে আয়রন জাতীয় খাবার। কতগুলি প্রাকৃতিক খাবার রয়েছে যেগুলি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা আরও বাড়াতে পারে।
এই খাবারগুলি হল-
বিট-
এটিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ম্যাগনেসিয়াম, কপার, ফসফরাস এবং ভিটামিন B1, B2, B6, B12 এবং C রয়েছে। শীতকালে প্রচুর পরিমাণে এই সবজিটি পাওয়া যায়। এটি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে পারে। রক্তে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে। এটি রান্না করেও খেতে পারে। সালাদ বা জুস আকারেও খেতে পারেন।
সজনে ডাঁটা ও পাতা
সজনে ডাঁটা আর পাতায়া প্রচুর পিরমাণে জিঙ্গ আয়রন, কপার, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন এ, বি এবং সি এর মত খনিজ পদার্থ থাকে। এই সমস্ত উপাদানগুলি রক্তে হিমোগ্লোবিন ও লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে পারে। বিশ্বাস করা হয় এই পাতা গুড়ের সঙ্গে খেলে উপকার পাওয়া যায়। সজনে ডাঁটাও নিয়মিত খেলে প্রচুর উপকার পাওয়া যায়।
শাকপাতা
পালংশাক, সরিষার শাক, সেলারি, ব্রকলির মত সবুজ শাক ও সবজিতে প্রচুর পরিমাণে অক্সালিক অ্যাসিড থাকে। যা শরীরে আয়রন শোষন করতে বাধা দেয়। এটি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ১২, ফলিক অ্যাসিড রয়েছে। এগুলি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ , যা হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। এগুলি রান্না করা বা সেদ্ধ করেই তার জুসও খেতে পারেন।
ডালিম
এই ফলে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার থাকে। রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন। এগুলি হিমোগ্লোবিন বাড়াতে পারে। এই ফল পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। তাই হিমোগ্লেবিনের মাত্রা বাড়াতে নিয়মিত ডালিম বা ডালিমের রস পান করা জরুরি।
ডিম ও দুধ
এই দুটিই হল সুষম খাবার। দুটি খাবারই হল প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ। তাই নিয়মিত দুধ আর ডিম রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক রাখা যায়।
হিমোগ্লোবিন কম থাকার কারণ-
কম হিমোগ্লোবিনের কারণ থাকতে পারে। যার মধ্যে অন্যতম হল খাদ্যে আয়রন ও ভিটামিন বি ১৩ এর অভাব। পাশাপাশি ব্লাড ক্যান্সার, কিডনি বা লিভারের রোগ, থাইরয়েড, থ্যালাসেমিয়া, ফুসফুস সংক্রান্ত যে কোনও রোগের কারণেও রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যেতে পারে।
হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণগুলি হল-
হৃদস্পন্দনের সমস্যা, চামড়া হলুদ হয়ে যাওয়া,মাড়ি থেকে রক্তপাত, সর্বদা ক্লান্ত, দুর্বল বোধ করা। পেশীর দুর্বল, ক্লান্তি, অবিরাম মাথাব্যাথা,শ্বাসকষ্ট।