সংক্ষিপ্ত
ইমিউন সিস্টেম নিউমোনিয়া -সহ যে কোনও রোগের জন্য সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অত্যান্ত জরুরি। পাশাপাশি শীতকালে প্রবল ঠান্ডার সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্যও ইমিউন সিস্টেম উন্নত করা জরুরি।
চিনে বাড়ছে নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব। ইতিমধ্যেই ভারতেও দুই -একজন এই রোদগে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু এই রোগটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার জন্য হয়। আবার হলেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। নিউমোনিয়া রোগের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যতালিকা রাখা অত্যান্ত জরুরি। আর সেই কারণে বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই একটি নির্দিষ্ট খাবারের তালিকা দিয়েছেন এই রোগের মোকাবিলায় অত্যান্ত জরুরি।
ইমিউন সাপোর্টের জন্য পুষ্টি
ইমিউন সিস্টেম নিউমোনিয়া -সহ যে কোনও রোগের জন্য সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অত্যান্ত জরুরি। পাশাপাশি শীতকালে প্রবল ঠান্ডার সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্যও ইমিউন সিস্টেম উন্নত করা জরুরি। আর সেই কারণে প্রয়োজন ভিটামিন সি। সেই কারণে পাতে নিয়মিত রাখতে হবে কমলালেবু, স্ট্রবেরি, বেল, মরিচ। রক্তে শ্বেত রক্তকণিকা বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ডি মাত্রা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। দই বা ছানা পাতে রাখতে পারেন। এভাবেই পাতে চর্বিহীন মাংস, মটরশুঁটি, দানা শস্য পাতে রাখতে প্রয়োজনীয় জিঙ্ক লাগবে।
প্রোটিন
প্রোটিন হল শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে অত্যান্ত কার্যকর। এটি ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু মেরামত করতে পারে। পোল্ট্রি , মাছ, টুফ খেতে পারেন। প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবারগুলি শরীরকে শক্তি সরবরাহ করে, নিউমোনিয়া রোগীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যারা ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভব করতে পারে।
হাইড্রেশন
নিউমোনিয়া-সহ যে কোনও রোগের সঙ্গে লড়াই করার জন্য হাইড্রেশনের স্তর বজায় রাখা ও বৃদ্ধি করা অত্যান্ত জরুরি। জল সর্দি-কাশি কমাতে খুব সাহায্য করে। হাইড্রেটেড থাকা শরীর যে কোনও সমস্যার মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। সেই কারেই ভেষজ চা খেতে পারে। তবে ঝোল বা সুপ দুর্দান্ত উপকার করে।
ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টস
একটি সুষম খাদ্য যাতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং চর্বি মিশ্রিত থাকে, সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য, বিশেষ করে নিউমোনিয়া পুনরুদ্ধারের সময়। শর্করা, পুরো শস্য, ফল এবং শাকসবজি থেকে উৎসারিত, শরীরকে একটি সহজলভ্য শক্তির উৎস প্রদান করে। অ্যাভোকাডো, বাদাম এবং জলপাই তেলে পাওয়া স্বাস্থ্যকর চর্বিগুলি প্রদাহ-বিরোধী প্রভাবে অবদান রাখে, যা নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলি পরিচালনা করতে উপকারী হতে পারে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গুরুত্বপূর্ণ। জাম, পালংশাকের মত খাবার নিয়মিত খেলে ভাল হয়। ডিম, মাছ, দুদ্ধজাত খাবার নিয়মিত পাতে রাখতে পারেন। বাদাম ও চিনাবাদাম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নিশ্চিত করে।
জাঙ্ক ফুড একদন নয়
জাঙ্ক ফুড বা প্রচুর মশলাদার খাবার ভুলেও খাবেন না। প্রক্রিয়াজত খাবার মোটেও খাবেন না। পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের এই জাতীয় খাবার খাওয়া সীমিত করা উচিত।
ভিটামিন-সমৃদ্ধ ফল থেকে শুরু করে প্রোটিন-প্যাকযুক্ত চর্বিহীন মাংস পর্যন্ত, প্রতিটি কামড় শরীরের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং শক্তি ফিরে পেতে অবদান রাখে। প্লেটে যা আছে তার প্রতি মনোযোগ দিয়ে, কেউ তাদের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে পারে এবং নিউমোনিয়া থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনাকে উন্নত করতে পারে।