শিশুদের একটা সঠিক বয়সের আগে পর্যন্ত সর্দি-কাশি হলে ঘরোয়া উপাদানই ব্যবহার করা উচিত কাফ সিরাপ এর তুলনায় । আসুন দেখা যাক কি কি উপায়ে ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়।
শিশুদের সর্দি-কাশির জন্য কাফ সিরাপের বদলে প্রচুর তরল পানীয়, উষ্ণ পরিবেশ বজায় রাখা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, এবং ১ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য মধু (ওজন অনুসারে পরিমিতভাবে) ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
এছাড়া, নাক বন্ধ থাকলে তা পরিষ্কার করা, হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা এবং বুকের দুধ খাওয়ানো উপকারী। তবে, ১২ মাসের কম বয়সী শিশুদের কোনো অবস্থাতেই মধু দেওয়া উচিত নয়, এবং যেকোনো ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
* শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গুরুত্বপূর্ণ: শিশুদের সর্দি-কাশির জন্য কোনো ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহারের আগে অবশ্যই শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণে (যেমন: শ্বাসকষ্ট) দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা প্রয়োজন। শিশুদের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার:
* তরল ও পুষ্টি:
১)প্রচুর তরল পানীয়: শিশুকে ঘনঘন তরল, যেমন বুকের দুধ বা স্বাভাবিক খাবার, দিন। ১ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য স্যুপও উপকারী।
২)হালকা গরম জল: কুসুম গরম জল, লেবুর রস এবং তুলসি পাতার রস কাশি উপশমে সাহায্য করে।
* আরাম ও পরিবেশ:
১)শরীর উষ্ণ রাখা: শিশুকে আবহাওয়া অনুযায়ী উষ্ণ রাখুন এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিন।
২)নাক পরিষ্কার করা: নাক বন্ধ থাকলে পাতলা কাপড় দিয়ে আলতো করে পরিষ্কার করুন।
৩)হিউমিডিফায়ার: ঘরে আর্দ্রতা বজায় রাখতে কুল-মিস্ট হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন।
অন্যান্য ব্যবস্থা:
* মধু: ১ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য মধু একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার। তবে ১২ মাসের কম বয়সী শিশুদের মধু দেওয়া যাবে না।
* অপরিহার্য তেল: ইউক্যালিপটাসের মতো অপরিহার্য তেল দিয়ে বুকে হালকা ঘষলে আরাম পাওয়া যায়।
গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা: ১২ মাসের কম বয়সী শিশুদের কোনো অবস্থাতেই মধু খাওয়ানো যাবে না। শিশুদের জন্য নির্ধারিত ডোজের বাইরে কোনো ওভার-দ্য-কাউন্টার (OTC) ওষুধ দেবেন না। শিশু যদি শ্বাসকষ্টে ভোগে বা অন্য কোনো উদ্বেগজনক লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
