গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপা কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিরাময়ে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে ইসবগুলের ভুসির ব্যবহার হয়ে আসছে বহু দিন ধরে। তবে, পেট ভাল রাখা ছাড়াও এই ভেষজের আরও অনেক কাজ রয়েছে। খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানলে তবেই পাবেন উপকার।
ইসবগুল শুধু কোষ্ঠকাঠিন্যই নয়, সুগার নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করতে পারে কারণ এতে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার রক্তে গ্লুকোজের শোষণ ধীর করে, যা রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যে মল নরম করে, ডায়রিয়ায় অতিরিক্ত জল শোষণ করে, এবং অ্যাসিডিটি ও গ্যাস কমায়, যা সামগ্রিকভাবে হজমশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ইসবগুলের উপকারিতা ও ব্যবহার:
* কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে: ইসবগুল ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় মল নরম করে এবং অন্ত্রের গতিবিধি স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কার্যকর।
* সুগার নিয়ন্ত্রণে: ইসবগুলের দ্রবণীয় ফাইবার ক্ষুদ্রান্ত্রে গ্লুকোজের শোষণ কমিয়ে দেয়, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
* ডায়রিয়া সারাতে: এটি অতিরিক্ত জল শোষণ করে মলকে ঘন করে তোলে, যা বারবার টয়লেটে যাওয়া থেকে বাঁচায়।
* অ্যাসিডিটি ও গ্যাস কমাতে: গ্যাস, অম্বল ও পেট ফাঁপার সমস্যাতেও ইসবগুল উপকারী।
* ওজন নিয়ন্ত্রণে: ফাইবারের কারণে এটি পেট ভরা রাখে, যা অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখতে সাহায্য করতে পারে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন:
* কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য: রাতে খাবার পর এক গ্লাস হালকা গরম জলে ২ চামচ ইসবগুল মিশিয়ে খেলে সকালে উপকার পাওয়া যায়।
* ডায়রিয়ার জন্য: ২ চামচ ইসবগুল ৩ চামচ দইয়ের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। দই প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।
* সুগারের জন্য: এটি সাধারণত খাবারের আগে বা খাবারের সাথে মিশিয়ে গ্রহণ করা যেতে পারে, তবে পরিমাণ ও সঠিক সময় জানতে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কি কি সতর্কতা নেবেন:
* ইসবগুল সবসময় পর্যাপ্ত জলের সাথে সেবন করা উচিত, নাহলে এটি আরও বেশি কোষ্ঠকাঠিন্য ঘটাতে পারে।
* যেকোনো নতুন খাবার বা ভেষজ সেবনের আগে, বিশেষত যদি আপনার সুগারের সমস্যা বা অন্য কোনো রোগ থাকে, তবে অবশ্যই একজন চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।


