কর্পূরকে মন শান্ত করা, মানসিক চাপ মুক্ত করা এবং মনসংযোগে সাহায্য করার উপায় হিসাবে দেখা হত। তবে বিজ্ঞান বলছে, ঘরে কর্পূর জ্বালালে পরিবেশ উন্নত হওয়ার যে দাবি, তা প্রমাণসাপেক্ষ।

ঘরে কর্পূর জ্বালানো সুগন্ধ, মানসিক শান্তি, নেগেটিভ এনার্জি দূর করা, মশা তাড়ানো ও বাস্তু দোষ দূর করার মতো লাভ দিলেও বদ্ধ ঘরে বেশি ব্যবহার করলে শ্বাসকষ্ট ও নিউরোলেরজিক্যাল টক্সিসিটির ঝুঁকি থাকে। কারণ এতে কার্বন ডাই অক্সাইড বাড়ে। তাই, ভালো মানের প্রাকৃতিক কর্পূর অল্প পরিমাণে এবং খোলা বা বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় ব্যবহার করা উচিত।

কী কী লাভ হতে পারে:

* সুগন্ধ ও বায়ু বিশুদ্ধকরণ: কর্পূরের তীব্র সুগন্ধ দুর্গন্ধ দূর করে এবং বাতাসকে সতেজ করে তোলে, জীবাণুনাশক হিসেবেও কাজ করে।

* মানসিক শান্তি ও চাপ মুক্তি: এর সুগন্ধ মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে এবং মনকে শান্ত ও ফোকাসড রাখতে পারে।

* নেগেটিভ এনার্জি দূরীকরণ : জ্যোতিষশাস্ত্র ও বাস্তু অনুযায়ী, কর্পূর পোড়ালে নেগেটিভ এনার্জি দূর হয়, পজিটিভ এনার্জি বাড়ে এবং সুখ-শান্তি আসে।

* মশা তাড়ানো: কর্পূরের গন্ধ মশা তাড়াতে কার্যকর।

* বাস্তু দোষ নিবারণ: এটি বাস্তু দোষ ও কালসর্প দোষের প্রভাব কমাতেও সাহায্য করে বলে বিশ্বাস করা হয়।

* শারীরিক উপকারিতা

(অ্যারোমাথেরাপি) : সর্দি-কাশিতে আরাম দিতে এবং বুকে জমে থাকা কফ কমাতে কর্পূর তেল ব্যবহার করা হয়।

ক্ষতি (Risks):

* বায়ু দূষণ ও অক্সিজেন হ্রাস: কর্পূর পোড়ালে কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি হয়, যা বদ্ধ পরিবেশে অক্সিজেনের পরিমাণ কমিয়ে দেয় এবং বায়ু দূষণ বাড়ায়।

* শ্বাসকষ্ট: কিছু মানুষের শ্বাসকষ্ট বা অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।

* রাসায়নিকের ঝুঁকি: নিম্নমানের বা রাসায়নিক মেশানো কর্পূর ব্যবহার করলে নিউরোলজিক্যাল সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সতর্কতা ও ব্যবহারের নিয়ম:

* প্রাকৃতিক কর্পূর ব্যবহার: সবসময় খাঁটি, প্রাকৃতিক কর্পূর ব্যবহার করুন, রাসায়নিকযুক্ত নয়।

* খোলা জায়গায় ব্যবহার: বদ্ধ ঘরে নয়, বরং বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় ব্যবহার করুন।

* অল্প পরিমাণে ব্যবহার: খুব বেশি কর্পূর একসঙ্গে জ্বালাবেন না।

* ডিফিউজার বা বাটি ব্যবহার: সরাসরি না জ্বালিয়ে কর্পূর বাটি বা ডিফিউজারে ব্যবহার করতে পারেন।