সংক্ষিপ্ত
সুস্থ থাকতে সবার আগে চিনি ও নুন খাওয়া কমাটে হবে। এটাই হল বর্তমান সময়ে সুস্থ থাকার 'গোন্ডেন রুল'। এরপর তো তেল মশলাযুক্ত খাবার এসব আছেই।
সুস্থ থাকতে হলে খাবারে সঠিক পরিমাণে লবণ, চিনি ও তেল নিতে হবে। এগুলি এমন জিনিস যা প্রতিদিনের খাবারে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অনেকেরই অজানা যে, একদিনে কত পরিমাণে চিনি, লবণ এবং তেল খেতে হবে। এই তিনটি জিনিস অনেক রোগের মূল কারণ। বর্তমানে কর্মব্যস্ত জীবনে সুস্থভাবে খাওয়া ও সুস্থভাবে চিন্তামুক্ত জীবন কাটানো বোধহয় সম্ভব নয়। তবে ইদানিং সময়ে মানুষের মধ্যে সুস্থ থাকার প্রবণতা বেড়েছে। আর সুস্থ থাকতে সবার আগে চিনি ও নুন খাওয়া কমাটে হবে। এটাই হল বর্তমান সময়ে সুস্থ থাকার 'গোন্ডেন রুল'। এরপর তো তেল মশলাযুক্ত খাবার এসব আছেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই বিষয়ে সব দেশকে সতর্ক করেছে। এর কারণে লবণ, চিনি ও চর্বির পরিমাণ থাকায় বাজারে বিক্রি হওয়া পণ্য নিষিদ্ধ করেছে অনেক দেশ। তবে, ভারতে এখনও এমন অনেক খাবার রয়েছে যেখানে চিনি এবং লবণের পরিমাণ খুব বেশি। এসব খাবার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
এক দিনে কত লবণ, চিনি এবং তেল খাওয়া উচিত-
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আমাদের দিনে ৫ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়। যদিও বেশিরভাগ ভারতীয় এর চেয়ে অনেক বেশি লবণ খান। দিনে ৬-৮ চামচ চিনি এবং ৪ চামচের বেশি তেল খাওয়া উচিত নয়। তবে, ভারতে সমস্ত মানুষ এই পরিমাণে এই জিনিসগুলি খাওয়া হয়।
অত্যধিক লবণ বিপজ্জনক
অত্যধিক লবণ আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। এতে রক্তচাপ বেড়ে যায় যা হার্টের জন্য বিপজ্জনক। উচ্চ সোডিয়াম স্তর রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। বাজারে পাওয়া খাবারের ব্যবহার দ্রুত বেড়েছে। বাজারে পাওয়া এসব খাদ্যদ্রব্যের বেশির ভাগেই লবণ থাকে। ভাজা বাদাম এবং আলুর ওয়েফারে প্রচুর পরিমাণে লবণ থাকে। এ ছাড়া নুডুলস, সস এবং প্যাকেট স্যুপও অস্বাস্থ্যকর।
অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও তেল স্বাস্থ্য নষ্ট করছে
পরিবর্তিত জীবনধারা, খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়ামের অভাবের কারণে এসব সমস্যা বাড়ছে। খাবারে লবণ, তেল, চিনির পরিমাণ কমিয়ে নিলে স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ দূর হয়। অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ, তেল বা চিনি ব্যবহার করলে তা থেকে নানা ধরনের রোগ দেখা দিতে শুরু করে। এই জিনিসগুলো খুব দ্রুত হার্ট, কিডনি ও ডায়াবেটিসের মতো রোগ সৃষ্টি করে।