Identify Stroke: সেরিব্রোভাস্কুলার অ্যাক্সিডেন্টস (সিভিএ), অর্থাৎ চলতি কথায় যাকে বলে স্ট্রোক।
Identify Stroke: স্ট্রোক হয়ে যাওয়ার পর, ঠিক কতক্ষণে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে থাকে সেই রোগী বাঁচবে কি না। কিন্তু সেখানে যদি দেরি হয়ে যায়, তাহলেই মুশকিল।
আর তাই স্ট্রোক হচ্ছে কি না, তা অবশ্যই সঠিক সময়ে বোঝা দরকার
সকলের বোঝার সুবিধার জন্য ৬টি ইংরেজি অক্ষরকে পাশাপাশি বসিয়ে একটি শব্দবন্ধ তৈরি করা হয়েছে। যার সংক্ষিপ্ত রূপ অ্যাক্রোনিম হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া আবার প্রত্যেকটি অক্ষরের পূর্ণরূপ রয়েছে। ‘B’, ‘E’, ‘F’, ‘A’, ‘S’ এবং ‘T’।
একইসঙ্গে বললে, ‘বি ফাস্ট’। অর্থাৎ, ‘দ্রুত করো’। এর আগে ‘আমেরিকান স্ট্রোক সোসাইটি’ চার অক্ষরের একটি ‘ফার্স্ট' তৈরি করেছিল। পরবর্তী সময়ে, ‘ইন্টারমাউন্টেন হেলথকেয়ার’ সেটির সঙ্গে আরও দু’টি অক্ষর যোগ করে দেয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, সেরিব্রোভাস্কুলার অ্যাক্সিডেন্টস সাধারণত দুই রকমের হয়
ইস্কেমিক স্ট্রোক এবং হেমার্যাজিক স্ট্রোক। দুতির ক্ষেত্রেই তীব্রতা অনেক বেশি থাকে। তবে যতক্ষণ বোঝার ক্ষমতা থাকে, ততক্ষণ স্ট্রোকের লক্ষণ রোগী টের পাবেন। যাদের বোঝার ক্ষমতা থাকে না, তখন রোগীর নিকটস্থ ব্যক্তিকেই সতর্ক থাকতে হবে।

আর তাই অবশ্যই জেনে নিতে হবে এই ৬টি অক্ষরের অর্থ। চিকিৎসকরা বলছেন, ‘‘সাধারণত স্ট্রোক হয় মস্কিষ্কের একটাদিকে। তখন শরীরের অন্য দিকটি সঙ্গে সঙ্গে অচল হতে শুরু করে দেয়। মুখ, হাত, চোঝ, এই অংশগুলি অবশ হতে শুরু করে। কোন কোন অংশে ঠিক কী হতে পারে, সেগুলি জেনে নেওয়া দরকার।
বি বা ব্যালান্স (ভারসাম্য): হঠাৎ শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় যাচ্ছে বলে মনে হবে। যার হচ্ছে, তিনিও বুঝতে পারবেন এবং পাশে কেউ থাকলে, তিনিও রোগীকে দেখে পরিষ্কার বুঝতে পারবেন।
ই বা আইজ় (চোখ): যার স্ট্রোক হচ্ছে, তিনি দেখবেন, দৃষ্টি ক্রমশ ঝাপসা এবং ক্ষীণ হয়ে আসছে। এমনকি, কোনও এক চোখের দৃষ্টি চলেও যেতে পারে। পাশের মানুষ যদি দেখেন, তিনি ভাববেন চোখ বুজে আসছে।
এফ বা ফেস (মুখ): মুখের একদিক নীচের দিকে ঝুলে পড়বে অথবা হাসতে গেলে একটি দিক কোনও মতেই নাড়ানো যাবে না।
এ বা আর্মস (হাত): সেইওঙ্গে, হাত তুলতে গেলে পড়ে যেতে পারে। এক দিকের হাত কোনও মতেই তোলা যাবে না সেই সময়।
এস বা স্পিচ (কথা): ধীরে ধীরে অস্পষ্ট হয়ে যাবে কথা। মনের মধ্যে কথা বোলার জন্য শব্দ তৈরি হলেও মুখ দিয়ে কথা বেরোবে না ঠিক মতো। শুধু তাই নয়, গিলতে কিংবা চিবোতেও অসুবিধা হতে পারে।
টি বা টাইম (সময়): উপরের একটি লক্ষণও যদি দেখা যায়, সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে সেই রোগীকে। ঠিক কোন সময় থেকে উপসর্গগুলি দেখা গেছে, আর তারপর কতটা সময় পেরিয়ে যাচ্ছে, সবটা মেপে রাখতে হবে। তবেই সঠিক চিকিৎসা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এই প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ‘‘লক্ষণ দেখা দেওয়ার পরের মুহূর্ত থেকে হাসপাতালে যাওয়ার সময়টি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। যাকে ইংরেজিতে বলা হয় গোল্ডেন টাইম। অর্থাৎ, যে সময়ের মধ্যে চিকিৎসা শুরু করতে পার্লে রোগীর বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল থাকে। তাছাড়া, বাঁচানো গেলেও অনেক সময়ে জটিলতা থেকে যায়। তাই আমরা বলি যত দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসবেন, ততই কম জটিলতার মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর সেই সময়টি হল, মাত্র ৬০ মিনিট, অর্থাৎ ১ ঘণ্টা।। কিন্তু নানা সুবিধা-অসুবিধার কারণে সেটি প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। তাই সম্প্রতি এই গোল্ডেন টাইমের সময়টিকে বাড়িয়ে সাড়ে ৪ ঘণ্টা করা হয়েছে সব দিক বিবেচনা করে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


