সংক্ষিপ্ত
মেদ ঝরানোর জন্য একের পর এক সব করেও কোনও ফল পাচ্ছেন না। হাজারো চেষ্টা করেও সব কৌশলই ব্যর্থ হচ্ছে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে কীভাবে এই মেদ কমানো যায় রইল তার টিপস।
শরীরের কথা ভেবে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করেছেন। জিম ,যোগাসন করেই শরীরের বাড়তি মেদ কিছুতেই কমাতে পারছেন না। কারণ একটাই, কোনও না কোনওভাবেই নিজেকে স্লিম রাখতেই হবে। প্রথাগত ব্যায়াম ভুলে এবার ভোলবদল আনুন শরীরচর্চায়।ওজন কমাতে প্রত্যেকেই মরিয়া হয়ে ওঠে। ডায়েট থেকে শুরু করে শরীরচর্চা সব কিছুই করেও নাজেহাল। মেদ ঝরানোর জন্য একের পর এক সব করেও কোনও ফল পাচ্ছেন না। কিন্তু মেদ কমাতেই হবে। তার জন্য যে কোনও উপায়েই হোক তা রপ্ত করতেই হবে। কিন্তু হাজারো চেষ্টা করেও সব কৌশলই ব্যর্থ হচ্ছে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে কীভাবে এই মেদ কমানো যায় রইল তার টিপস।
ওজন কমানোর জন্য খাওয়া-দাওয়ার অভ্যেস সবার আগে পরিবর্তন করতে হবে। প্রাথমিক কিছু নিয়ম থাকলেই ওজন থাকবে বশে। প্রথমত, কাঁটা চামচ ও চামচ দিয়ে খাওয়া যায় এমন খাওয়ার খেতে হবে। কারণ চামচ দিয়ে খাবার খেলে খাবারের পরিমাণ কম ওঠে। যার ফলে খাবারও কম খাওয়া হয়। রাতের বেলা খাবার খাওয়ার আগে বেশি পরিমাণে জল খান। তাতে খেতে বসার পর অনেকটা খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে যাবে। যে প্লেটে সবসময় খাবার খান সেই প্লেটের আকার যদি বড় থাকে তাহলে তা ছোট করুন। ছোট প্লেট হলে খাবারের পরিমাণও কম ধরবে। এবং স্বাভাবিক ভাবেই খিদেও কম পাবে।
খাবারের শেষ পাতে ডেজার্ট খাওয়ার ইচ্ছেই রাশ টানুন। সপ্তাহে একদিনের জন্য বজায় রাখুন সেই শখ। ডেজার্ট শরীরের জন্য কতটা ক্ষতি করে তা সবারই জানা। তাই যারা শেষপাতে মিষ্টি খান সেটা সবার আগে বন্ধ করে দিন। অনেকক্ষণ খিদে চেপে রাখলেই খাওয়ার সময় বেশি খিদে পেয়ে যায়। তাই খিদে না চেপে কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর অল্প অল্প করে খাবার খান। তবে যখনই পাবেন পেটে খিদে রেখে খান। রাতের বেলা স্ন্যাক্স একদমই এড়িয়ে চলুন। ঘুমোতে যাবার অন্তত ৩ ঘন্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। এতে শরীরের হজম ক্ষমতাও ঠিক থাকবে। খাবার কম খেতে হবে বলে খাবার খাবেন না এটা ভুল করেও করবেন না। বরং খালি পেটে থাকলে দ্রুত ওজন বেড়ে যায়। কাজেই খেতে যেমন হবে তার পাশাপাশি নিয়ম করে শরীরচর্চাও করতে হবে। শুধু খেলেই হল না খাওয়ারের পাশাপাশি শরীরচর্চা কিন্তু মাস্ট। তাই খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি শরীরচর্চাও করতে হবে নিয়ম করে।