সংক্ষিপ্ত

PCOS এ আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে কিটো ডায়েটের হস্তক্ষেপে তাদের প্রজনন হরমোনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করেছে। সঙ্গে তাদের ফলিকল-স্টিমুলেটিং হরমোন অনুপাত কমিয়েছে।

 

 

নতুন গবেষণা অনুসারে পলিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বা PCOSসহ মহিলাদের ওজন কমানোর জন্য স্বল্পমেয়াদী কিটোজেনিক ডায়েট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে মহিলারা নানাভাবে উপকৃত হতে পারে। মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বিশ্লেষণমূলক গবেষণায় দেখা গেছে PCOS সাধারণত দেখা যায় মহিলাদের হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে। সেই কারণে ৪৫ দিনের জন্য কার্বোহাইড্রেট, প্রচুর মাত্রায় চর্বি যুক্ত খাবার এড়িয়ে চললেই উপকার পেয়েছে অনেকে।

PCOS-র লক্ষণঃ

PCOS হল প্রসবকালীন বয়সের মহিলাদের একটি হরমোনজনিত ব্যাধি, যার বৈশিষ্ট্য অনিয়মিত পিরিয়ড ও কম ডিম্বস্ফোটন, উচ্চমাত্রার পুরুষ হরমন যেমন টেস্টোস্টেরন ও ডিম্বাশয়ে সিস্ট। অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত চুল বৃদ্ধি, ব্রণ, বন্ধ্যত্ব ও ওজন বৃদ্ধি।

PCOS আক্রান্তদের কিটো ডায়েটঃ

PCOS এ আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে কিটো ডায়েটের হস্তক্ষেপে তাদের প্রজনন হরমোনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করেছে। সঙ্গে তাদের ফলিকল-স্টিমুলেটিং হরমোন অনুপাত কমিয়েছে। যার অর্থ হল তাদের ডিম্বস্ফোটনের একটি ভাল সুযোগ ছিল। এর ফলে উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। এন্ডোক্রাইন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণা রিপোর্ট। গবেষকদের দাবি কিটো ডায়েট মনে চলার ফলে অনেক ক্ষেত্রেই মহিলাদের মধ্যে টেস্টোস্টেরণের মাত্রাও কমতে দেখেছেন।

গবেষণাটি ছিল PCOS আক্রান্ত মহিলাদের কেটো ডায়েট ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের একটি মেটা বিশ্লেষণ ও তাদের প্রজনন হরমোন ও ওজন পরিবর্তনের ওপর খাদ্যের প্রভাব পরীক্ষা করা। ১৭০ জন মহিলার ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে। কিটোজেনিক ডায়েট অনুসরণ করা হল এমন একটি উপায় যার মাধ্যমে শরীরকে কিটোসিসের বিপাকীয় অবস্থায় প্রবেশ করানো যায়, যেখানে কার্বোহাইড্রেটের পরিবর্তে শক্তির জন্য চর্বি পোড়ানো হয়।

কিটো ডায়েট-

কিটো ডায়েট হল আধুনিক ফ্যাশান। এই জাতীয় ডায়েটে খাবের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়। ৮০ শতাংশই থাকে ফ্যাট। কার্ব শরীরের কম যাওয়া দেহ নিজেই ফ্যাট গলিয়ে শক্তি উৎপাদন করে। ফলে কিটো ডায়েট করলে মেদ ঝরে যায়। এই প্রক্রিয়াই দ্রুত ওজন কমাতে পারে।

চিকিৎসকদের মতঃ চিকিৎসকদের মতে কিটো ডায়েটে ওজন কমে। তবে এই ডায়েট সকলের জন্য নয়। খুববেশি ওজন হলে চিকিৎসকরাই কিটো ডায়েটের পরামর্শ দিতে পারেন। তবে অনেকেই নিজে থেকে রোগা হওয়ার জন্য এজাতীয় ডায়েট অনুসরণ করে। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ডায়েক করাই উচিৎ নয়। প্রেশার, সুগার আর হার্টের রোগীদের জন্য কিটো ডায়েট চরম বিপদ ডেকে আনতে পারে। যারা শারীরিকভাবে সক্রিয় তারাই এজাতীয় ডায়েট করতে পারে।