সংক্ষিপ্ত

ধনেপাতার জলে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি এবং ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় এবং এই উপাদানগুলো রোগকে দূরে রাখে। ধনেপাতার জল পানের অনেক উপকারিতা রয়েছে, যার কয়েকটি সম্পর্কে সকলের জেনে রাখা উচিত।

 

Benefits of coriander: সবুজ ধনে পাতা এবং বীজ উভয়ই খাবারের স্বাদ বাড়ায়। খাবারে ঝাল ও মশলা না থাকলেও ধনেপাতা দিয়ে সাজিয়ে রাখলে এর সৌন্দর্য ও স্বাদ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু আপনি কি জানেন যে ধনেপাতা শুধু খাবারের সৌন্দর্য এবং স্বাদই বাড়ায় না এর জল আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ধনেপাতার জলে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি এবং ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় এবং এই উপাদানগুলো রোগকে দূরে রাখে। ধনেপাতার জল পানের অনেক উপকারিতা রয়েছে, যার কয়েকটি সম্পর্কে সকলের জেনে রাখা উচিত।

ওজন কমাতে কার্যকর-

আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে ধনে বীজ ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে। এজন্য এক গ্লাস জলে তিন টেবিল চামচ ধনে বীজ ফুটিয়ে নিন। জল অর্ধেক হয়ে গেলে ছেঁকে নিন। প্রতিদিন দুবার এই জল পান করলে ওজন কমতে শুরু করবে।

কোলেস্টেরল পরিত্রাণ পেতে

ধনেতে এমন উপাদান পাওয়া যায় যা শরীরের কোলেস্টেরল কমায় এবং নিয়ন্ত্রণে রাখে। গবেষণা অনুসারে, যদি কেউ উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে তার ধনে বীজ সিদ্ধ করে সেই জল পান করা উচিত।

পেটের রোগ থেকে মুক্তি পান

পেট সংক্রান্ত কোনও সমস্যা থাকলে দুই কাপ জলে ধনে বীজ, জিরা, চা পাতা ও চিনি মিশিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই জল পান করলে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পেট ব্যথা হলে আধা গ্লাস জলতে দুই চামচ ধনে বীজ মিশিয়ে পান করলে পেটের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

হজমশক্তি বাড়ায়-

সবুজ ধনিয়া পেটের সমস্যা দূর করে এবং হজম শক্তি বাড়ায়। টাটকা ধনেপাতা বাটার মিল্কের সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে বদহজম, বমি বমি ভাব, আমাশয় এবং কোলাইটিস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি-

ধনেকে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক হিসাবে মনে করা হয় অর্থাৎ এটি ডায়াবেটিস নিরাময় করে। এর জল পান করলে রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

নাক দিয়ে রক্ত ​​পড়ার ওষুধ-

প্রায় ২০ গ্রাম তাজা ধনে পাতার সঙ্গে এক চিমটি কর্পূর মেশান, পিষে রস ছেঁকে নিন। এই রসের দুই ফোঁটা নাকের ছিদ্রের দুই পাশে রেখে সেই রস কপালে লাগিয়ে হালকাভাবে ঘষলে নাক থেকে রক্ত ​​পড়া বন্ধ হয়।

চোখের জন্য উপকারী

প্রতিবেদন অনুসারে ধনিয়া বীজ চোখের জন্যও উপকারী। কিছু ধনে বীজ পিষে জলতে ফুটিয়ে নিন। এই জল ঠাণ্ডা করে একটি মোটা কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিয়ে এর দুই ফোঁটা চোখে ফেললে জ্বালাপোড়া, ব্যথা ও জল আসার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

পিরিয়ডের সমস্যায়-

মহিলাদের পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে ধনেপাতা। পিরিয়ড স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে আধা লিটার জলতে প্রায় ৬ গ্রাম ধনে বীজ মিশিয়ে সিদ্ধ করুন। এই জলতে চিনি মিশিয়ে পান করলে উপকার পাওয়া যাবে।

ব্রণর জন্য-

ধনেপাতা ত্বকের জন্যও উপকারী। ধনেপাতার রসে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এই পেস্টটি দিনে দুবার ব্যবহার করলে আপনি খুব দ্রুত ব্রণ এবং দাগ থেকে মুক্তি পাবেন এবং আপনার মুখের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে। গরমে ফুসকুড়ি হলে ধনেপাতার রস জলে দিয়ে স্নান করতে পারেন।

জ্বালা থেকে মুক্তি-

প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া হলে ধনে পাতার জল পান করলে আরাম পাওয়া যায়। ধনে বীজ ভিজিয়ে পিষে জল তৈরি করুন। শরীরে বিশেষ করে পায়ের জ্বালাপোড়ায় এই জল পান করলে উপকার পাওয়া যায়।