সংক্ষিপ্ত
কুল স্বাস্থ্যকর ফল। এর খাদ্যগুণ অপরিসীম। জানুন কুলের উপকারিতা।
সরস্বতী পুজোর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত হল কুল। দেবীকে উৎসর্গ করেই অনেকে কুল খান। অত্যান্ত সুস্বাদু এই ফল। শীতকালের ফল হিসেবে পরিচিত। বাজারে টোপা কুল, আপেল কুল, নারেকল কুল-সহ নানা ধরেনর সুস্বাদু কুল বিক্রি হচ্ছে। সরস্বতী পুজো নিয়ে বরাবরই বাঙালি উৎসাহী। প্রতিটি স্কুলেতো বটেই, একাধিক ক্লাব ও প্রায় প্রতিটি বাড়িতে বাকদেবীর আরাধনা হয়ে থাকে। কিন্তু অনেকে এখনও মেনে চলেন প্রাচীন নিয়ম, যে সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেতে নেই।
এটি স্বাস্থ্যকর ফল। এর খাদ্যগুণ অপরিসীম। জানুন কুলের উপকারিতাঃ
১. কুলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। জিভ বা মুখের ঘা কমাতে ভিটামিন সি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সর্দিকাশি কমাতেও এটি জরুরি। কিন্তু সর্দি বা কাশি হলে সাধারণত চিকিৎসকরা কুল খেতে বারন করেন।
২. কুল উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে। ডায়েরিয়া ও অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি রক্ত স্বল্পতার মত রোগের জন্য খুবই উপাকরী।
৩. কুলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এটি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে। পাশাপাশি যকৃতের কার্যক্ষমতা বাড়াতে পারে।
৪. কুল ত্বকের জন্য উপকারী। কুল চামড়া সতেজ রাখতে সাহায্য করে। কুলে ফাইবার রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে পারে। হজম ক্ষমতা বাড়াতে পারে।
৫. কুল রক্তকে বিশুদ্ধ করতে পারে। রক্তশূন্যতা , ব্রঙ্কাইটিসের বিরুদ্ধে কার্যকরী।
৬. সিজেনাল জ্বর সর্দির বিরুদ্ধে কুল কার্যকরী।
৭. কুল ত্বকের কোমলতা রক্ষা করতে পারে।
তবে হিন্দুশাস্ত্রের অধিকাংশ বিধানই সমাজের কথা মাথায় রেখে তৈরি হয়েছিল। কারণ প্রাচীন কাল থেকেই এই দেশের অর্থনীতি ছিল কৃষি নির্ভর। সেই নিময় অনুযায়ী কোনও নতুন ফলস বা ফল উঠলে তা প্রথমে দেব-দেবীদের নিবেদন করা হয়। সেই প্রথমা অনুযায়ী শীতকালীন ফল কুল মা সরস্বতীকে নিবেদন করা হয়।