আগে লোকে উপেক্ষা করলেও এখন গুগ্ল, সমাজমাধ্যমের যুগে খাদ্যাভ্যাস, পুষ্টিগুণ নিয়ে আলোচনা, লেখালেখি, ভিডিয়োর সর্বত্রই রয়েছে pumpkin seeds -এর পুষ্টিগুণের ছড়াছড়ি। তাই কখন কিংবা কীভাবে খেলে এই বীজের উপকার পাওয়া যাবে তা জানুন।
রান্নায় ব্যবহৃত বহুল পরিচিত একটি সবজি - কুমড়ো, যার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানেন অনেকেই। তবে কুমড়োর বীজের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন অনেক কম মানুষজন। এক সময় যে বীজ ফেলে দেওয়া হতো, আজ তা বিক্রি হচ্ছে দামি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স বা সুখাদ্যের বিকল্প হিসেবে।
বীজটি ভিটামিন এর উৎস। ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জ়িঙ্ক, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবারে ভরপুর এই ছোট বীজই এখন স্বাস্থ্য সচেতনদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। স্যালাড, স্মুদি, স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স হিসেবে খাচ্ছেন অনেকেই। তবে কখন খাবেন কুমড়োর বীজ?
১। সকালে খালি পেটে
ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে খেলে শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান দেবে কুমড়োর বীজ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। এছাড়াও এই বীজ জলের তেষ্টা বাড়ায়, বেশি জল খেলে শরীরের দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়।
২। শরীরচর্চার পরে
‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’ থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র বলছে, এতে ৯ রকম জরুরি অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে। আর রয়েছে লিউসাইন, আইসোলিউসাইন, ভ্যালাইনের মতো উপাদান, যা প্রোটিন সংশ্লেষে সাহায্য করে। তাই শরীরচর্চার পর কিছুটা কুমড়ো বীজ রোস্ট করে খেয়ে নিন, যা শরীর প্রয়োজনীয় প্রোটিন পাবে, যা পেশিতে শক্তি সরবরাহে সাহায্য করে।
৩। রাতে ঘুমানোর আগে
রাতে ঘুমানোর আগে কুমড়োর বীজ প্রাকৃতিক ঘুমের ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম, ট্রিপটোফ্যান ও জিঙ্ক স্নায়ু শিথিল করে, এবং ঘুমের হরমোন সেরোটোনিন ক্ষরণে সাহায্য করে। এই সেরোটোনিন রূপান্তরিত হয় মেলাটোনিন-এ।
কতটা খাওয়া যেতে পারে?
আমেরিকার হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, এক জন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ মানুষ দিনে ২৮-৩০ গ্রাম কুমড়ো বীজ খেতে পারেন। তবে কিডনি বা লিভারের সমস্যা থাকলে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

