গবেষণায় প্রকাশ, ২০২২ সালে গোটা বিশ্বে যারা ধূমপান না করেন তাদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারের ৫৩-৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই অ্যাডেনোকার্সিনোমাই দায়ী বলে দেখা গেছে। যারা ধূমপানের আশপাশ দিয়েও যাননি তাঁদেরও ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার অনুপাত বেড়েছে।
যারা ধূমপান করার অভ্যাস আছে তাদের ক্ষেত্রে দেহে ক্যান্সার হওয়াটা স্বাভাবিক বিষয় বলে মনে করা হয় । তবে যারা ধূমপান থেকে দূরে থাকেন তাদের শরীরেও দেখা দিতে পারে ক্যান্সার। এই মারণরোগ মহিলা এবং পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই হতে পারে। সমীক্ষা থেকে স্পষ্ট হয়েছে ফুসফুসের মধ্যে ৫৩ থেকে ৭০ শতাংশ এলাকায় ক্যান্সার দেখা দিয়েছে। যারা বিড়ি সিগারেট থেকে দূরে তারাও এর শিকার হতে পারেন। এক নতুন গবেষণা থেকে উঠে এসেছে এই শিউরে ওঠার মত তথ্য । মনে করা হচ্ছে এসবের পিছনে অন্যতম কারণ হল বায়ুদূষণ।
মঙ্গলবার বিশ্ব ক্যানসার দিবসে প্রকাশিত হয়েছে 'দ্য ল্যানসেট রেসপিরেটরি মেডিসিন' জার্নালে এই গবেষণাটি । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-সহ ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার গ্লোবাল ক্যান্সার অবজারভেটরি ২০২২ ডেটাসেট থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে চার রকমের ফুসফুসের ক্যানসারের ঘটনার কথা জানতে পারা সম্ভব হয়েছে। যেগুলো হল অ্যাডেনোকার্সিনোমা, স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা, ছোট এবং বড় কোষের কার্সিনোমা।
গবেষকরা গবেষণা করে দেখেছেন, অ্যাডেনোকার্সিনোমা এমন একটি ক্যান্সার যা শ্লেষ্মা এবং পাচক গ্রন্থির মতো তরল উৎপন্নকারী গ্রন্থি থেকে শুরু হয়। পুরুষ এবং মহিলা দুক্ষেত্রেই প্রধান হয়ে উঠেছে এই ক্যানসার ।
গবেষণায় প্রকাশ, ২০২২ সালে গোটা বিশ্বে যারা ধূমপান না করেন তাদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারের ৫৩-৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই অ্যাডেনোকার্সিনোমাই দায়ী বলে দেখা গেছে। গবেষকদের ব্যাখ্যায় উঠে এসেছে যে, অন্যান্য উপ-প্রকারের ফুসফুসের ক্যান্সারের তুলনায়, অ্যাডেনোকার্সিনোমার ঝুঁকি, সিগারেটে আসক্তির সঙ্গে দুর্বলভাবে সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়।
গবেষকরা আরও জানিছেন, সচেতনতার কারণে বিশ্বে অনেক দেশে ধূমপানের প্রবণতা কমছে, তাই যারা কখনও ধূমপানের আশপাশ দিয়েও যাননি তাঁদের মধ্যেও ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার অনুপাত বেড়েছে।
২০১৯ সালের পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে, দুনিয়ার প্রায় সকলেই এমন এলাকায় বসবাস করেন যেখানে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের মান অনুসারে বাতাসের মানদণ্ড পূরণ হয় না। যা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বলেও মনে করা হচ্ছে।
গবেষকরা মনে করছেন, কেউ যদি আপনার পাশে দাঁড়িয়ে ধূমপান করেন তাহলে সেই ধোঁয়া আপনার ফুসফুসে চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আপনি ধূমপান না করলেও ক্ষতির শিকার হবেন আপনিও। গবেষণায় দেখা গেছে, ফুসফুসের বেশিরভাগ অংশ ক্যান্সারে আক্রান্ত হলেও অনেক সময় সেই ব্যক্তির এই পরিস্থিতি টেরও পান না।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।https://www.whatsapp.com/channel/0029Va9a73wK0IBjbT91jj2D
