সংক্ষিপ্ত

একজন উপযুক্ত সন্তান হিসেবে এটাই সঠিক সময় আপনার মায়ের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া শুরু করুন এবং তাঁর সমস্ত প্রয়োজনীয় মেডিকেল পরীক্ষা করান।

 

মাদারস ডে-তে, মায়েদের উপহার দেওয়াটাই নয় বরং মায়ের প্রতি যত্ন নেওয়াটাই বড় কথা। তাই এই বিশেষ দিন উপলক্ষে কেউ দামি শাড়ি কেনেন, কেউ দামি ফোন গিফট করে, তবে মাকে যদি সত্যি ভালোবেসে থাকেন। তবে এটটাই সেরা সময়। এই সময় থেকেই তাঁর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নেওয়া শুরু করুন।

আপনি যদি মায়ের দীর্ঘকালীন সুস্থতা চান তবে তাঁকে উপহার দেওয়ার পরিবর্তে তাঁর ফুল বডি চেকআপ করান। আপনাদের পরিবারের যত্ন নিতে নিতে কোথাও মায়ের নিজের স্বাস্থ্যের ঘাটতি যাতে থেকে না যায় সন্তান হিসেবে সেই দায়িত্ব আপনার। একজন উপযুক্ত সন্তান হিসেবে এটাই সঠিক সময় আপনার মায়ের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া শুরু করুন এবং তাঁর সমস্ত প্রয়োজনীয় মেডিকেল পরীক্ষা করান।

বার্ধক্যের সঙ্গে সঙ্গে একজন মহিলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা শুরু হয়। অনেক সময় আমাদের ব্যস্ততার কারণে মায়েরা তাঁদের সমস্যার কথা বলেনও না। এমন পরিস্থিতিতে, মাদারস ডে-তে আপনি তার সমস্যার কথা জানুন, আপনার মায়ের সমস্ত চেকআপ করুন এবং তার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।

মহিলাদের জন্য মেডিকেল পরীক্ষার প্রয়োজন-

চোখের পরীক্ষা-

বার্ধক্যের সঙ্গে সঙ্গে চোখে ছানি বা গ্লুকোমার সমস্যা থাকে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রতি ৬ মাস অন্তর চোখ পরীক্ষা করাতে হবে।

বোন ডেনসিটি টেস্ট-

৬০ বছর বয়সে, পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই হাড় সম্পর্কিত সমস্যা শুরু হয়। বয়স্কদের এই বয়সে অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই বছরে একবার হাড়ের ঘনত্ব পরীক্ষা করান।

হার্টের পরীক্ষা-

৫০ বছর বয়সে, আপনার মায়ের প্রতি বছর ইসিজি, ইকো, ইকেজি (ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম) বিপি এবং টিএমটি করা উচিত।

সাইকোলজিক্যাল স্ক্রিনিং-

এই বয়সে মহিলাদের মেনোপজ হয়ে যায়, যার কারণে মহিলাদের মধ্যে মেজাজ পরিবর্তন, হতাশা, নিদ্রাহীনতা, বিরক্তির মতো সমস্যা দেখা দেয়। এই বয়সে ৭৫ শতাংশ মহিলাদের মধ্যে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে।

রক্তচাপ পরীক্ষা-

উচ্চ রক্তচাপকে নীরব ঘাতক হিসাবে মনে করা হয়, কারণ এর লক্ষণ না জানলে স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সেজন্য মায়ের নিয়মিত মেডিকেল চেক-আপ করাতে হবে।

কোলেস্টেরল পরীক্ষা-

আপনার প্রতি বছর কোলেস্টেরল পরীক্ষা করা উচিত। আপনার যদি ডায়াবেটিস, হার্ট বা কিডনি সংক্রান্ত কোনও সমস্যা থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শে আরও তাড়াতাড়ি পরীক্ষা করাতে থাকুন।