Muri Shinai De: কর্মব্যস্ত জীবনে সুস্থ থাকার নতুন জাপানি সংস্কৃতি - ‘মুরি শিনাই দে’। এই পন্থা আমাদের শেখায়, কাজের পাশাপাশি নিজেকে ভালো রাখাটাও জরুরি।

Muri Shinai De: ইঁদুর দৌড়ের জীবনে সাফল্য খুঁজতে খুঁজতে আমরা অনেকেই ভুলে যাই শরীর ও মনের যত্ন নেওয়া। জাপানি এই পন্থায় শুধু কাজ নয়, গুরুত্ব পায় শরীর এবং মানসিক স্বাস্থ্যও। এভাবেই কর্মসংস্কৃতিতে আনছে জাপান।

কী এই ‘মুরি শিনাই দে’?

জাপানি ভাষায় ‘মুরি’র অর্থ অতিরিক্ত, প্রচণ্ড। আর ‘শিনাই দে’ মানে সহজ ভাবে নাও’ বা ‘আর বেশি নয়’। মিলিয়ে অর্থ দাঁড়ায়— “অতিরিক্ত বোঝা নিও না”, বা “অনেক হয়েছে, আর নয়”। কর্মক্ষেত্রে যখন কেউ টানা কাজ করে চলেছেন। ক্লান্ত, তবু থামছেন না। তখন তাকে বলা যেতে পারে, ‘মুরি শিনাই দে’।

কীভাবে ‘মুরি শিনাই দে’ আমাদের জীবনেও প্রযোজ্য?

১। অতিরিক্ত কাজ নয়, স্বাস্থ্য জরুরী

নিজের সীমানা বুঝুন এবং সঠিক সময়ে থামতে শিখুন। শরীর বা মন যখন ক্লান্ত, তখন বিশ্রাম নেওয়াই জরুরি। কারণ কর্মক্ষমতা তখনই দীর্ঘস্থায়ী হয়, যখন কর্মী সুস্থ থাকে। স্বল্প সময়ে বাড়তি কাজের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, সুস্থ শরীরে দীর্ঘ সময় ধরে কাজের মান ধরে রাখা।

২। কাজে ভারসাম্য

‘মুরি শিনাই দে’ অফুরান কাজ নয়, বরং বাস্তবসম্মত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে উৎসাহ দেয়। টানা কাজের বদলে মাঝেমধ্যে বিরতি নিন।

৩। কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবনের ভারসাম্য

একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনের জন্য পেশাগত সাফল্য যতটা প্রয়োজন, ততটাই প্রয়োজন মানসিক শান্তি, সম্পর্কের যত্ন, নিজের জন্য কিছু সময়। মনোবিদেরা বলেন, সব সময় পেশাগত জীবন এবং পারিবারিক জীবনের মধ্যে একটা বিভাজনরেখা থাকা দরকার। মানসিক স্বাস্থ্য, শরীর ভাল না থাকলে তার প্রভাব কাজে পড়তে বাধ্য।

৪। ধীরে চলার নীতিতে বিশ্বাস

ক্রমাগত ইঁদুর দৌড় নয়, বরং সময় মতো থামা এবং ধীরে চলার নীতিকে প্রশ্রয় দেয় ‘মুরি শিনাই দে’।

কেন এই পরিবর্তন জাপানে?

জাপানে একসময় অতিরিক্ত কাজের জন্য অনেকেই ভুগতেন মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উৎপাদনশীলতা ও কর্মীদের স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন করে সচেতন ভাবনায় উঠে এসেছে এই শব্দবন্ধ ‘মুরি শিনাই দে’। এখন এটি কাজের চাপ মুক্তির জনপ্রিয় মন্ত্র, যা ভালো থাকতে সাহায্য করে মানুষকে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।