ক্রমশ বাড়ছে পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব! এর আরেকটি কারণ খুঁজে পেলেন গবেষকরা
পুরুষদের মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়া এবং প্রজনন হার হ্রাস একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জীবনযাত্রা, মানসিক চাপ, ফাস্ট ফুডের মতো কারণের পাশাপাশি अब আরেকটি বিপজ্জনক বিষয় সামনে এসেছে।

সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, কৃষিতে ব্যবহৃত নিওনিকোটিনয়েড কীটনাশক পুরুষের প্রজনন ক্ষমতার ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এতে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে, গতিশীলতা দুর্বল হয় এবং শুক্রাণুর आकार বদলে যায়।
এই রাসায়নিকগুলি ফসলে মিশে যায়। ফলে, ফল, সবজি এবং শস্য যতই ধোয়া হোক না কেন, রাসায়নিকের অবশিষ্টাংশ আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। আমেরিকায় ৫০% মানুষের শরীরে এর চিহ্ন পাওয়া গেছে।
গবেষক সুরাইয়া ইরফানের মতে, এই কীটনাশক হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, শুক্রাশয়ের ক্ষতি এবং শুক্রাণুর গুণমান হ্রাস করে। আরেক গবেষক ভেরোনিকা বলেন, খাবারে থাকা রাসায়নিক প্রজনন ক্ষমতা কমায়।
বিজ্ঞানীদের মতে, যদিও এই গবেষণাটি পশুদের ওপর করা হয়েছে, তবে পশু ও মানুষের মধ্যে শুক্রাণু তৈরির প্রক্রিয়া প্রায় একই। তাই মানুষের ওপরও এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা বেশ বেশি।
এই কীটনাশক শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়িয়ে শুক্রাণু কোষ এবং DNA-এর ক্ষতি করে। এটি হরমোনের নিয়ন্ত্রণে বাধা সৃষ্টি করে এবং শুক্রাশয়ের টিস্যুর ক্ষতি করে, ধীরে ধীরে প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়।

