Breast Cancer: বিশ্বজুড়ে পুরুষদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের কেস ১ শতাংশেরও কম। নারীদের আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেশি স্তন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে। 

Breast Cancer: স্তন ক্যান্সারের সতর্কতা কেবলমাত্র নারীদের জন্যই নয়, ঝুঁকিতে রয়েছে পুরুষেরাও। নারীদের আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেশি স্তন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে, তবে পুরুষদের আক্রান্ত হবার ঘটনা বিরল, কিন্তু মারাত্মক হতে পারে নারীদের থেকেও। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি ১০০০ জন পুরুষের মধ্যে একজন পুরুষই এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। আবার বিশ্বজুড়ে পুরুষদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের কেস ১ শতাংশেরও কম।

স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের ক্ষতি মারাত্মক কেন?

উজালা সিগনাস হাসপাতালের এমডি ডঃ রিচু শর্মা ও অনকোলজিস্ট ডঃ এনবি, এদের কথা অনুযায়ী পুরুষরা এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে তা বিপজ্জনক রূপ নিতে পারে, তার মূল কারণই হলো সচেতনতার অভাব এবং রোগ নির্ধারণের দেরি। এই ক্যান্সার ধরা পড়ে যে পরীক্ষায়, পুরুষরা সেই মেমোগ্রাফির মত পরীক্ষায় অংশগ্রহণই করতে পারে না। এছাড়া লজ্জায় এবং সচেতনতার অভাবে সময়মতো চিকিৎসকের কাছেও যান না, ফলে যখন ক্যান্সার ধরা পড়ে তখন দেখা যায় অনেকটাই ছড়িয়ে পড়েছে শরীর।

কোন বয়সে আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি?

সাধারণত ৬০ থেকে ৭০ বছর বয়সের পুরুষদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে BRCA2 -এর মত কিছু জিনগত পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় বয়সের আগেই ধরা পড়তে পারে এই রোগ।

প্রাথমিক লক্ষণ কী কী হতে পারে?

পুরুষদের স্তনে বা স্তনের আশেপাশে টিস্যুতে ব্যথা হীন গাঁট হওয়া, স্তনের আকার, রঙ বা নিঃসরণে পরিবর্তন, স্তন ক্যান্সারের প্রধান লক্ষণ। এছাড়াও স্তনবৃন্তের গঠন, আকার বা রঙে পরিবর্তন, সেখান থেকে অস্বাভাবিক স্রাব নিঃসরণ, কিংবা ত্বকের টেক্সচারে পরিবর্তন দেখা যায়। আবার বুকে দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা, টান বা ফোলা থাকে এবং তা ওষুধে না কমা, কাঁধ বা হাতের নিচেও ফোলাভাব দেখা দিলে তাহলে সতর্ক হওয়া জরুরি। এই সমস্ত উপসর্গগুলি দেখা গেলেও পুরুষরা পাত্তা দেন না, অধিকাংশই ভাবেন কেবলমাত্র মহিলাদেরই স্তন ক্যান্সার হতে পারে। অবহেলা আর লজ্জায় চিকিৎসকের পরামর্শও নেওয়া হয় না।

দিল্লি AIIMS-এর মেডিক্যাল অনকোলজিস্ট ডঃ রোহিত খুরানা এ নিয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন। বলছেন, “পুরুষদের স্তন ক্যানসার সাধারণ নয়, তাই অনেকেই এটিকে অবহেলা করেন। কিন্তু এই অসচেতনতা প্রাণঘাতী হতে পারে। যদি নিপলে রং পরিবর্তন, গাঁট, বা ব্যথা দেখা যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে একজন অনকোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত”।

চিকিৎসা পদ্ধতি

পুরুষদের স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতিও কিছুটা মহিলাদের মতই। সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন ও হরমোন থেরাপি ইত্যাদির মাধ্যমেই চিকিৎসা করা হয়ে থাকে।

আবার অধিকাংশ পুরুষদেরই স্তন ক্যান্সার ‘এস্ট্রোজেন রিসেপ্টর পজিটিভ’ হয়ে থাকে, তাই ওষুধ হিসেবে "ট্যামোক্সিফেন" ব্যবহার করা হয়, এটি বেশ কার্যকর।