Pets for health: ডিমনেশিয়ার মতো মস্তিষ্কের সমস্যায় বাড়ির পোষ্যদের ভূমিকা বেশ, বলছে গবেষণা। তবে কোন ধরনের পোষ্য বা কীরকম প্রভাব ফেলে মানব মস্তিষ্কে তা জানাটাও প্রয়োজন।
Pets at home: সারা বিশ্বে বাড়ছে ডিমেনশিয়া (Dementia) ও অ্যালঝাইমার্সে (Alzheimer's) আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেরই স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় অদ্ভূতভাবে এক আশার আলো দেখা গিয়েছে। বাড়িতে পোষ্য (Pets) থাকলে নাকি বয়সকালে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে কুকুর বা বিড়ালের মতো পোষ্যদের উপস্থিতি বয়সকালীন মানসিক অবক্ষয় রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। সম্প্রতি ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’ নামে একটি জার্নালে ১৮ বছর ধরে চলা এক গবেষণার কথা প্রকাশিত হয়ে হয়েছে। সেখানে গবেষক অ্যাড্রিয়ানা রস্তেকোভা লেখেন, ‘মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে পোষ্যদের বড় ভূমিকা রয়েছে। যদিও কোনও কোনও পোষ্যের ক্ষেত্রে তার প্রভাব কী রকম, তা নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।’
কী বলছে গবেষণা?
এই গবেষণার জন্য গবেষকেরা ১৮ বছর ব্যাপী ৫০ বছরের বেশি বয়সের মানুষদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তথ্য পর্যবেক্ষণ করে যা দেখা গেছে তাতে গবেষকদের ধারণা, বাড়ির পোষ্য, বিশেষ করে কুকুর বা বিড়াল মানুষের সামাজিকীকরণে সাহায্য করে, যা পরোক্ষে মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। যাঁদের কুকুর আছে, কুকুরের যত্নে শারীরিক পরিশ্রম হয় বেশি। ফলে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে। আবার বিড়াল পোষ্য থাকলে কথাবার্তার গতি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। বিড়ালের সঙ্গে সম্পর্ক মূলত আবেগনির্ভর, যা মানসিক শান্তি দেয়। তবে উভয়েই পরোক্ষভাবে বয়সকালে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ভাল রাখতে সাহায্য করে।
পোষ্য হিসেবে মাছ বা পাখি কেমন?
গবেষকদের একাংশের ধারণা, স্মৃতিশক্তির বিকাশে বা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে পোষ্য হিসেবে মাছ বা পাখির উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেই। কারণ, এদের কম জীবনকাল, যাতে মনিবের সঙ্গে তার গভীর আবেগের সম্পর্ক তৈরিই হয় না। বরং পাখি মানুষের ঘুমের গুণগত মান নষ্ট করতে পারে, যা আবার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


