আটা মেখে ডো তৈরি করে দিনের পর দিন ফ্রিজে রাখছেন! জানেন কী ক্ষতি হয়?
রুটি, চাপাতির জন্য ডো মাখিয়ে ফ্রিজে রাখেন? এর ফলে কতটা ক্ষতি হয় জানেন?

ভারতীয়রা যেমন নিয়মিত ভাত খায়, তেমনি রুটিও খায়। রুটি, চাপাতি বানানোর জন্য অনেকেই একসাথে অনেকটা ডো মাখিয়ে ফ্রিজে রেখে দেয়। অনেকে দুই-তিন দিন ফ্রিজে রেখেও রুটি বানায়। কিন্তু রুটির ডো ফ্রিজে রেখে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, জানেন কি? এর ফলে কী ক্ষতি হয় জেনে নেওয়া যাক...
রুটি বানানো সহজ নয়। ডো মাখিয়ে, ভিজিয়ে রেখে, তারপর আবার রুটি বানিয়ে, তারপর সেঁকে নিতে হয়। এই ঝামেলা এড়াতে অনেকে আগেই ডো মাখিয়ে ফ্রিজে রেখে দেয়, প্রয়োজনে রুটি বানায়। তবে এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি:
রুটির ডো ফ্রিজে রাখলে তাতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। এটি খেলে পেটের সমস্যা, স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়।
পুষ্টিগুণ নষ্ট:
ফ্রিজে অনেকক্ষণ রাখলে রুটির ডো তার পুষ্টিগুণ, ভিটামিন হারায়। এতে ওজন কমানো কঠিন হয়।
গ্যাসের সমস্যা:
ফ্রিজ থেকে নির্গত ক্ষতিকর গ্যাস রুটির ডোতে প্রবেশ করে পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি করে।
স্বাদ নষ্ট:
ফ্রিজে রাখা রুটির ডো দিয়ে বানানো রুটি শক্ত, শুকনো হয়। অনেক সময় স্বাদও কমে যায়।অনেকে এই রুটির ডো বায়ুরোধী পাত্রে, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল বা জিপলক ব্যাগে রাখে। এটি কিছুটা সুরক্ষিত হলেও, এটি সম্পূর্ণ দূষণ রোধ করে না।
বিশেষ করে বর্ষাকালে, লিস্টেরিয়া মনোসাইটোজিনের মতো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এই রুটির ডোতে জন্মায়। এটি জ্বর, মাথাব্যথা, ডায়রিয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি করে।
রুটির ডো মাখানোর দিনই ব্যবহার করা ভালো। অবশিষ্ট ডো ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। শুধু রুটিই নয়, সাম্বার, রসম, চাটনি ইত্যাদিও সেদিনই তৈরি করে, বাকি না রেখে খাওয়া ভালো। ফ্রিজে রেখে পরে গরম করে খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
ডোতে তেল মেশানো:
রুটির ডো মাখানোর সময় এক চা চামচ তেল মেশালে ডোর উপর একটা সুরক্ষিত আবরণ তৈরি হয়। এটি অক্সিজেনের প্রভাব কমায়। ডোকে নরম, তাজা রাখতে সাহায্য করে।
ভেজা কাপড় দিয়ে ঢাকা:
রুটির ডো একটা পাত্রে রেখে ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন। তারপর আপনি ঢাকনা দিয়ে শক্ত করে ঢেকে দিতে পারেন। এতে রুটির ডো শুকিয়ে যাবে না। এই সাবধানতা অবলম্বন করলে ডো তাজা থাকবে।

