সিঙ্গারা খাওয়ার পর অ্যাসিডিটি, গ্যাস বা বুকজ্বালার সমস্যা খুবই সাধারণ। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঈষদুষ্ণ জল, জোয়ান, মৌরি, ঠান্ডা দুধের মতো কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় অত্যন্ত কার্যকরী।
সিঙ্গারা ভারতীয়দের সবচেয়ে পছন্দের স্ন্যাকস, কিন্তু এটি খাওয়ার পর অ্যাসিডিটি, বুকজ্বালা, গ্যাস এবং পেট ভার হওয়ার সমস্যা খুবই সাধারণ। ময়দা, আলু, মশলা এবং ডুবো তেলে ভাজা হওয়ার কারণে সিঙ্গারা হজম করা বেশ কঠিন। বিশেষ করে খালি পেটে বা বেশি পরিমাণে সিঙ্গারা খেলে পেটে অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়, যার ফলে বুকে জ্বালা এবং অস্বস্তি অনুভূত হয়। আপনারও যদি সিঙ্গারা খাওয়ার পর বারবার অ্যাসিডিটি হয়, তবে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় এবং সঠিক অভ্যাস এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
ঈষদুষ্ণ জল
সবার আগে ঈষদুষ্ণ জল পান করুন। সিঙ্গারা খাওয়ার পর এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জল পেটে জমে থাকা তেলকে আলগা করে এবং হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে অ্যাসিডের প্রভাব ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে।
জোয়ান এবং বিট নুন
জোয়ান এবং বিট নুন অ্যাসিডিটির সমস্যায় কাজ করে। আধ চামচ জোয়ানের সঙ্গে এক চিমটি বিট নুন মিশিয়ে চিবিয়ে খেলে গ্যাস এবং বুকজ্বালা থেকে সঙ্গে সঙ্গে আরাম পাওয়া যায়। জোয়ান পাচক এনজাইমকে সক্রিয় করে তোলে।
মৌরির জল
মৌরি বা মৌরির জলও খুব কার্যকরী। সিঙ্গারা খাওয়ার পর ১ চামচ মৌরি চিবিয়ে খান অথবা মৌরি জলে ফুটিয়ে পান করুন। এটি পেট ঠান্ডা রাখে এবং অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ঠান্ডা দুধ
ঠান্ডা দুধও অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে। দুধ পেটের জ্বালা কমায় এবং অ্যাসিডকে নিউট্রাল করে। তবে খেয়াল রাখবেন দুধ যেন ঈষদুষ্ণ বা খুব বেশি ঠান্ডা না হয়।
কলা বা দই
কলা বা দই খেলেও আরাম পাওয়া যায়। কলা প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিডের মতো কাজ করে, অন্যদিকে দই পেটের ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে হজমশক্তি উন্নত করে।
এরপর থেকে সিঙ্গারা খাওয়ার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করুন
- খুব বেশি ঝাল চাটনি খাবেন না
- খালি পেটে সিঙ্গারা খাবেন না
- সিঙ্গারার সঙ্গে জল বা কোল্ড ড্রিঙ্কস পান করা এড়িয়ে চলুন।
- ধীরে ধীরে এবং সীমিত পরিমাণে সিঙ্গারা খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।


