Mental Health Reduce Tips: মানসিক চাপে নিজেকে কিভাবে শান্ত রাখবেন দেখুন তার কয়েকটি উপায়। বিশদে জানুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ে…
Mental Health Reduce Tips: মানসিক চাপ, বর্তমান সময়ে গুরুত্ব না দেয়া সবচেয়ে ভয়াংকর রোগগুলোর একটি। মানসিক চাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অবস্থা এতোটাই ভয়াবহ হতে পারে যে, জীবননাশের চিন্তাভাবনাও করে থাকেন অনেকেই। আজ জানবো মানসিক চাপ কি, এর লক্ষণ ও মানসিক চাপ কমানোর ১০টি কার্যকরী উপায় সম্পর্কে। তবে শুরু করার আগে গবেষণায় পাওয়া কিছু তথ্য সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) গবেষণা মতে, ২০১৯ সালে প্রতি ৮ জনের মধ্যে ১ জন মানসিক রোগে ভুগছে। ২০২০ সাল থেকে কোভিড-১৯ সমস্যার কারণে এই সংখ্যাটা আরো বেড়েছে। মাথাকে ঠান্ডা রাখার আরও এক সেরা কৌশল হল মাইন্ডফুলনেস। এই টেকনিকে শুধুমাত্র বর্তমান ক্ষণের মধ্যে ব্রেনকে ধরে রাখা হয়। আগে বা পরের কথা ভাবা হয় না।
সেক্ষেত্রে মানসিক চাপ কমানোর উপায় সম্পর্কে জেনে মানসিক চাপ কমানোর পদক্ষেপ নেয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। আসুন তবে জেনে নেই কয়েকটি কার্যকরী মানসিক চাপ কমানোর উপায় সম্পর্কে।
কীভাবে কমাবেন মানসিক উদ্বেগ-চাপ?
১) ধর্মীয় কাজে মনোনিবেশ করা।
তিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা যাকে আমরা নির্দিধায় নিজের মনের সকল কথা বলতে পারি। ধর্মের প্রতি বিশ্বাসের দিক থেকে আমরা প্রার্থনার মাধ্যমে নিজেদের সমস্যার কথা সৃষ্টিকর্তাকে জানানোর মাধ্যমে নিজের ভেতর প্রশান্তি নিয়ে আসতে পারি।
২.কিছুক্ষনের জন্য ব্রেক নিন, হাটতে বেড়িয়ে পড়ুন। অতিরিক্ত কাজের চাপে যখন অবসাদ চলে আসে, মানসিক চাপ অনুভব হয় তখন কিছু সময়ের জন্য সকল কিছু থেকে ব্রেক নিন, এক্ষেত্রে হাঁটাহাঁটি করা যেতে পারে।
৩) রিলাক্সিং ব্রেথ “4-7-8” মেথড অনুসরণ করুন
৪-৭-৮ মেথড কিংবা রিলাক্সিং ব্রেথ পদ্ধতি অনুসরণ করে দ্রুত ঘুমানো ও মানসিক চাপ থেকে অল্প সময়ের মধ্যে মুক্তি পাওয়া যায়।
৪)খাদ্যাভ্যাস ও ঘুম: এই দুটি উপাদান উপেক্ষা করলে চলবে না।
সুস্থ খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ঘুম মানসিক চাপ কমানোর জন্য অপরিহার্য। আমরা অনেক সময় দেখেছি, অতিরিক্ত ক্যাফেইন, প্রসেসড ফুড ও চিনি গ্রহণ মানসিক অস্থিরতা বাড়ায়।
প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ও অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম মানসিক ভারসাম্য রক্ষা করে। ঘুমের অভাবে মস্তিষ্ক ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না এবং চিন্তাভাবনার স্বচ্ছতা নষ্ট হয়। চেষ্টা করুন প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও ঘুম থেকে উঠার। ক্যাফেইন ও মোবাইল স্ক্রিন থেকে দূরে থেকে ঘুমাতে যাওয়া আপনার ঘুমের গুণমান বৃদ্ধি করবে।
৫) ডিজিটাল ডিভাইস থেকে বিরতি নিন
আধুনিক সময়ে ডিজিটাল ডিভাইসে হারিয়ে যাওয়াও ডিপ্রেশনের অন্যতম কারণ। সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন সংবাদ ও ভয়াবহ এলগরিদমের কারণে প্রচুর সময় নষ্ট হয়। যার ফলে নিজের কাজের প্রতি মননিবেশ নষ্ট হয় আর মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়।
৬) প্রিয় মানুষদের সাথে যোগাযোগ করুন
মানসিক চাপ কমানোর উপায় হিসেবে প্রিয় মানুষদের সাথে সময় কাটানো খুব কার্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কেননা, বন্ধুত্ব ও পারিবারিক বন্ধন মানসিক চাপ কমায়। বিশ্বস্ত বন্ধু কিংবা আপন মানুষের সাথে সমস্যার কথা খুলে বললে ধীরে ধীরে মাথা থেকে চাপ কমে আসে, নিজেকে খুব হাল্কা অনুভুব করতে পারবেন। তাই আপনার প্রিয় মানুষদের কাছে নিজের অবস্থান তুলে ধরুন, তাদের শরণাপন্ন হোন।
৭) ভ্রমণে বের হওয়া
মানসিক চাপ কমানোর আরেকটি ভীষণ কার্যকরী উপায় হলো ভ্রমণ করা। প্রকৃতির কাছাকাছি থাকলে আমাদের মনে সতেজ থাকে, নতুন নতুন মানুষ বিষয় ও মানুষের সাথে পরিচিত হলে আমরা দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকতে পারি।
যারা ভ্রমণ পিপাসু মানুষ আছেন তাদের অধিকাংশই বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যা থেকে মুক্ত। তাই আপনিও যদি মানসিক চাপ কমাতে চান তাহলে সারাদিনের কর্মব্যস্ততা, সাংসারিক কাজের মাঝেও কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য সময় বের করুন। যতটা সম্ভব প্রকৃতির কাছকাছি ঘুরতে যান।
৮) যোগব্যায়াম করুন
শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা রক্ষার জন্য খুব প্রাচীন ও সর্বস্বীকৃত উপায় হলো ইয়োগা বা যোগব্যায়াম। কয়েক ধরনের যোগব্যায়াম রয়েছে। এগুলোর ভূমিকা ভিন্ন হলে তারা একত্রে আপনাকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


