সংক্ষিপ্ত

অনেকসময় দুঃখ ভুলতে কিংবা হয়ত অভ্যাসবশত অথবা বিশেষ কোনও দিনের উদ্যাপন, মদ্যপান করার একাধিক কারণ রয়েছে। 

এমন অনেকে আছেন, যারা চাইলেও এই অভ্যাস থেকে সহজে বেরিয়ে আসতে পারেন না। যাদের মাত্রাছাড়া মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে, তাদের পক্ষে মদ্যপান ছাড়া বেশ কঠিন কাজ। অনেকক্ষেত্রে তো ইচ্ছা থাকলেও উপায় বের করতে পারেন না তারা। তাই মদের নেশায় আসক্ত হওয়ার আগেই সতর্ক হওয়া দরকার। কীভাবে বুঝবেন, আপনি মদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন?

বেশ কয়েকটি বিষয় রয়েছে, যেগুলি হলে বুঝবেন যে, আপনি আসক্ত।

১) একদিনও মদ্যপান না করে থাকতে পারছেন না। খালি মদ খাওয়ার ছুতো খুঁজছেন।

২) অবসর সময়েও মদ খাওয়ার কথা ভেবে চলেছেন অনবরত।

৩) এমনকি, একটা পেগ খাবেন ভেবে শুরু করলেও, একের পর এক পেগ খেয়েই চলেছেন। নিজেকে কিছুতেই ধরে রাখতে পারছেন না।

কিন্তু কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন নিজের মদ্যপানের অভ্যাস? যদি মদের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়েন, তাহলে কিন্তু অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। কারণ, এই মদ খাওয়ার অভ্যাস শরীরে হাজারটা রোগকে ডেকে আনে। তাই এই অভ্যাসে লাগাম টানার জন্য জীবনধারায় বেশকিছু বদল আনা প্রয়োজন।

১) মদ খাওয়ার পরিমাণ কমানোর চেষ্টা না করে, একেবারে মদ্যপান না করে কাটানোর চেষ্টা করুন বেশ কয়েকটি দিন। প্রথম দিকে হয়ত একটু কষ্ট হবে, কিন্তু তারপর সামলেও নিতে পারবেন নিজেকে।

২) দিনের একটি সময়ে খুব বেশি করে মদ্যপানের টান বাড়ছে? তাহলে এমন সময়ে নরম কোনও পানীয় খান। যতবার ইচ্ছা করবে মদ্যপান করতে, ততবার জল বা অন্য কোনও পানীয় খেতে থাকুন। অন্যান্য পানীয়ের মধ্যে লেমোনেড, আদা চা কিংবা জিরের জল খেতে পারেন।

৩) দিনের যে সময়ে সাধারণত মদ্যপান করে থাকেন, ঠিক সেই সময়ে অন্য কোনও কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। ওই সময়টা পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারেন। যে সব জায়গায় বা পার্টিতে মদ্যপানের ব্যবস্থা রয়েছে, প্রথমদিকে সেগুলি একটু এড়িয়ে চলাই ভালো।

৪) শরীরচর্চা করেও মদ্যপানের অভ্যাসে কিছুটা রাশ টানা যায়। তাছাড়া এমনিতেই শরীরচর্চা করলে মনমেজাজ বেশ ভালোই থাকে এবং মানসিক চাপও কিছুটা কমে।

৫) উপরের উপায়গুলিতে যদি একেবারেই কাজ না হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিয়মিত থেরাপি এবং ওষুধ অনেকটাই সাহায্য করতে পারে মদ্যপান নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।