Health News: প্রতিদিন ঘুম কম হওয়ার কারণ হতে পারে শোয়ার আগে স্ক্রিন ব্যবহার, ক্যাফেইন/ভারী খাবার, অনিয়মিত রুটিন, অতিরিক্ত ব্যায়াম ও মানসিক চাপ—এই ভুলগুলো। 

Health News: প্রতিদিন ঘুম কম হওয়ার কারণ হতে পারে শোয়ার আগে স্ক্রিন ব্যবহার, ক্যাফেইন/ভারী খাবার, অনিয়মিত রুটিন, অতিরিক্ত ব্যায়াম ও মানসিক চাপ—এই ভুলগুলো।

সমাধান করতে শোয়ার আগে স্ক্রিন (ফোন/টিভি) বন্ধ করুন, হালকা খাবার খান, ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন, ঘুমের জন্য আরামদায়ক পরিবেশ (অন্ধকার, ঠান্ডা) তৈরি করুন এবং মানসিক চাপ কমাতে মেডিটেশন করুন।

শোয়ার আগে যে ৫টি ভুল করছেন না তো?

১. ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার (ফোন, ল্যাপটপ, টিভি): এগুলোর থেকে বের হওয়া নীল আলো (blue light) মেলাটোনিন হরমোন উৎপাদনে বাধা দেয়, যা ঘুম আসতে দেয় না।

২. ভারী খাবার, ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল: শোয়ার ঠিক আগে ভারী, মশলাদার খাবার বা বেশি জল পান করলে অস্বস্তি হয়। ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল ঘুমকে বিক্ষিপ্ত করে।

৩. অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও চিন্তা: দিনের চিন্তাগুলো শোয়ার সময় মাথায় এলে ঘুম আসে না।

৪. শোবার ঘরের পরিবেশ: ঘর অন্ধকার, ঠান্ডা ও শান্ত না হলে বা গদি/বালিশ আরামদায়ক না হলে ঘুম ভালো হয় না।

৫. অনিয়মিত ঘুমের রুটিন: প্রতিদিন একই সময়ে না ঘুমালে শরীরের 'সার্কাডিয়ান রিদম' (Circadian Rhythm) বা জৈবিক ঘড়ি ব্যাহত হয়।

সমাধান করবেন কী ভাবে?

* স্ক্রিন টাইম কমান: শোয়ার কমপক্ষে ১ ঘণ্টা আগে ফোন, ল্যাপটপ ও টিভি বন্ধ করুন।

* খাবার ও পানীয়তে নিয়ন্ত্রণ: রাতে ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন। ক্যাফেইন (চা, কফি, চকোলেট) ও অ্যালকোহল রাতে একেবারেই নয়। শোয়ার আগে বেশি জল পান করবেন না।

* রিল্যাক্স করার রুটিন: হালকা গরম জলে স্নান, বই পড়া, হালকা মেডিটেশন বা শান্ত মিউজিক শুনুন।

* ঘুমের পরিবেশ তৈরি: শোবার ঘরকে ঠান্ডা, অন্ধকার ও শান্ত রাখুন। আরামদায়ক ম্যাট্রেস ব্যবহার করুন।

* নিয়মিত শরীরচর্চা: দিনে শরীরচর্চা করুন, তবে শোয়ার ঠিক আগে নয়।

* মানসিক চাপ কমানোর কৌশল: দুশ্চিন্তা থাকলে তা লিখে রাখুন এবং পরের দিনের জন্য রেখে দিন।

এই অভ্যাসগুলো মেনে চললে আপনার ঘুমের মান উন্নত হবে এবং আপনি প্রতিদিন পর্যাপ্ত ও গভীর ঘুম উপভোগ করতে পারবেন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।